স্টাফ রিপোর্টার:
লাথি পড়ে গরিবের পেটেই– প্রবাদটি বিয়ানীবাজারের দরিদ্র মানুষের জন্য বার বার প্রমাণিত হচ্ছে। সৌদি আরব সরকারের পাঠানো উট-দুম্বার মাংসের এক টুকরোও যায়নি বিয়ানীবাজারের দরিদ্র কিংবা দুস্থের কুঁড়েঘরে। ছলে-বলে-কৌশলে কেড়ে নেওয়া সেই মাংস বিত্তবানের রান্নাঘরের হাঁড়িতেই চড়েছে গত ১৬ বছর।
কোরবানির ঈদের পর দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বাংলাদেশে উট-দুম্বার মাংস পাঠানো সৌদি সরকারের প্রতিবছরের রেওয়াজ। সৌদি আরব থেকে আসা উট-দুম্বার মাংস দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসকের হাত ঘুরে মাংস পৌঁছে উপজেলা-উপজেলায়। অথচ দরিদ্র মানুষের একজনও সেইসব মাংস পায়নি। গরিবের জন্য পাঠানো মাংস বিতরণে অনিয়মের ঘটনা গত ১৬ বছর থেকে টানা চলেছে। এই মাংসের সম্পূর্ণ অধিকার দুস্থ, অভাবগ্রস্ত ও এতিমদের।
সূত্র জানায়, গত ২০২৩ সালে বিয়ানীবাজারে ২০ কার্টুন উট-দুম্বার মাংস আসে। তবে কোথাও তা বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ নিয়ে কোন তথ্য নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ নিয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেননি। যদিও মাংস যেন শুধু গরিবরা পান, সে নির্দেশনা জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে দেওয়া থাকে। যেহেতু এটি কোরবানির মাংস, তাই এ পবিত্র মাংসের প্রতি অনেক মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছর উট-দুম্বার মাংস বিতরণে দেরি হয়েছিল। এসব তালিকা মূলত: সরকারি দলের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিশেষ এক ব্যক্তি তালিকা করে আমাদের কাছে দিতেন। আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী মাংস পৌঁছে দিয়েছি। আসলে এ মাংস শুধু দুস্থ, এতিম ও অসহায় মানুষের জন্য। এরপরও মাংস বিতরণে অনিয়ম হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদের সাথে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com