বিয়ানীবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য দিনের মত যথাসময়ে পাঠদান শুরু হয়। ছবিতে বিয়ানীবাজার কামিল মাদ্রাসায় ক্লাস শুরুর আগের প্রস্তুতি/
স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের দিন আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এ কারণে বিয়ানীবাজারের জনমনে কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা কেটে গেছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখা যায়নি। বরং পৌরশহর এলাকায় স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন চলছে। স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলা ছিল। ব্যবসা প্রতিষ্টান-বিপনী বিতানগুলো যথাসময়ে খোলা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, লেনদেনের পরিবেশ পুরোপুরি স্বাভাবিক। বিয়ানীবাজার শহর থেকে সিলেট, ঢাকামুখি বাস গন্তব্যে উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এসব বাসে যাত্রী সাধারণ ছিল আশাব্যঞ্জক।
স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করে।
ইসলামী ব্যাংকের বিয়ানীবাজার শাখায় চেক ভাঙাতে আসা গ্রাহক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘ভাবছিলাম লকডাউনের কারণে ভিড় কম থাকবে, কিন্তু আসার পর দেখি সব স্বাভাবিক। খুব অল্প সময়েই কাজ শেষ হয়েছে।’
অন্যদিকে, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের গ্রাহক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আজ টাকার প্রয়োজন ছিল, তাই এসেছি। বাইরে এসে দেখি সব ঠিক আছে, সবাই নিজ নিজ কাজ করছে।’
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘কোথাও লকডাউনের প্রভাব নেই। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। জনমনে উদ্বেগের কারন নেই।’
Sharing is caring!