স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার পরও বিয়ানীবাজারের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র সন্তোষজনক। এ ধারা বজায় রেখে উচ্চশিক্ষার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে। বৃত্তি অর্জন করে অথবা উচ্চশিক্ষা গ্রহনে প্রবাসে গেলে জাতি উপকৃত হবে। তিনি আরোও বলেন, শিক্ষার্থীদের বিকাশে মেধা চর্চার বিকল্প নেই। বর্তমান প্রতিযোগীতার যুগে মেধার এই চর্চা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্টুডেন্ট’ শব্দটাই একজন শিক্ষার্থীর করণীয় কি তা জানান দেয়। এরই মধ্যে নিহিত আছে তার লক্ষ্য ও মূল উদ্দেশ্যগুলো। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্কুল সময়ের বাইরেও আপনার সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন। বিশেষ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদেরকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিয়ে আসুন। এখনি যথাযথভাবে তাদের গড়ে তোলার সময়। তারা যেন চিন্তাশীল হয়, সত্যবাদি ও একতাবদ্ধ থাকে। তাদের অমিয় প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করুন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫ এর ফলাফল পর্যালোচনা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্হাপনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: তারিকুল ইসলাম ও কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রহীম সবুজ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমদ বলেন, বিয়ানীবাজারে দুপুর ১টা পর্যন্ত যাতে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া ছাত্রীদের টিকটক-মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে রাখতে অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
Sharing is caring!