বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা: সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার সীমানা দেয়ালের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আওয়ামীলীগ কর্মী তারেক আহমদ (২৪), নামক একজনের লাশ পাওয়া গেছে।
৫ আগস্ট সোমবার বিকালে বাড়ি থেকে মায়ের জন্য ঔষধ নিতে বাজারে আসলে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি তারেক।
জানাযায়, নিহত তারেক আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তারেক ছিলেন তৃতীয়। পরিবারের রোজগারের অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন তারেক আহমদ। তিনি একজন ছেলে সন্তানের জনক।
কোটা বৈষম্য নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সাথে ছাত্র জনতার আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠে জুলাই মাসে। এক মাস দীর্ঘ আন্দোলনে দেশের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চাপে এক পর্যায়ে নিজের ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় ৫ আগস্ট দুপুর প্রায় ২:২৫ মিনিটে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবর পেয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উটে আওয়ামীলীগ বিরোধী শক্তি। তারা মুহুর্তের মধ্যে দেশে অরাজক পরিস্থিতি গড়ে তুলে। বিভিন্ন সরকারী স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এমনকি আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এ সময় তারা ব্যাপরোয়া হয়ে উঠে। রাস্তা ঘাটে আওয়ামী সমর্থক পেলেই তাদের উপর হামলায় ঝাপিয়ে পড়ে।
সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলন কারীদের মধ্যে কয়েকজন বিএনপির কর্মী ফয়ছল আহমদ হাসান, আব্দুল্লাহ আল জাবেদ ও জামিল আহমদ তারা তারেক আহমদকে একা পেয়ে উদ্দ্যেশ মূলক ভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মৃত প্রায় অবস্থায় মাথায় গুলি করে নিথর দেহে বিয়নীবাজার থানার সীমানা দেয়ালের পাশে জঙ্গলে ফেলে যায়। তারেক আহমদ একজন আওয়ামীলীগ কর্মী হওয়ায় তাকে হামলা কারীরা মেরে ফেলে।
বিয়ানীবাজার থানার পাশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন কারীদের হামলার উত্তাপ কিছুটা কমে যাওয়ার পর উপস্থিত জনতার কয়েকজনের চোখে পড়ে থানার পাশের জঙ্গলে সীমানা প্রাচীরের কাছে একজন আহত ব্যাক্তি পরে আছে তারা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জান। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
নিহত তারেক আহমদের মা জানান, বিকাল বেলা আমার ছেলে আমার হার্টের রোগের জন্য ঔষধ কিনতে বাজারে যায়। কিন্তু বিকাল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। অবশেষে রাত ১ ঘটিকার দিকে বিয়ানীবাজার থানার পিছনে ঝোপে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। কপালে ও দুই পায়ে গুলির চিহ্ন, শরীরজুড়ে আঘাতের দাগ সবই ছিল স্পষ্ট।
তারেকের বড় ভাই লায়েক বলেন, আমার ভাই তারেক ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। গত ৫ আগস্ট বিয়ানীবাজার শহরে বিএনপি ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামীলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ চলে। তারেক বাড়ি ফিরে না আসার কারণে তার বন্ধুদের কয়েকজনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা কেউ তার খোঁজখবর দিতে পারেননি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ৬ আগস্ট রাতে বিয়ানীবাজার থানার সীমানা দেয়ালের কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তারেককে পাওয়া যায়। আমার ভাইয়ের এমন খবর শুণে আমার মা বার বার জ্ঞান হারিয়েছিলেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com