সামিয়ান হাসান:
৬ ডিসেম্বর, বিয়ানীবাজার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিয়ানীবাজার হানাদারমুক্ত হয়। উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুরে পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই থেকে এদিনটি বিয়ানীবাজার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করেন স্থানীয়রা। তবে এবার বিয়ানীবাজার মুক্ত দিবস চলে যায় অতি নীরবে।
৬ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজার মুক্ত হলেও ৭ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজারে পতাকা উত্তোলন ও আনন্দ মিছিল করা হয়। সে কারণে কেউ কেউ ৭ ডিসেম্বরকে শত্রুমুক্ত দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধে বিয়ানীবাজারে শহীদ হন ১২৪ জন। পাক সেনারা উপজেলার কাঁঠালতলা বধ্যভূমি ও রাঁধা টিলা, সারপার টর্চারসেলসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয়দের ধরে এনে নির্যাতন করতো। যেসব স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান সচেতন বিয়ানীবাজারবাসী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির জানান, বিয়ানীবাজারের কাঁঠালতলায় প্রায় ৬০ জনের উপরে ও রাধা টিলা প্রায় ৩০ জনকে পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করে এবং সারপার টর্চারসেলে ৭ জনকে হত্যা করে সীমান্তবর্তী নওয়াগ্রাম গণকবরে পুঁতে দেয়। দেশের একমাত্র প্রবাসী বাউল কমর উদ্দিনকেও কাঁঠালতলায় হত্যা করে পাকবাহিনী।
রাধা টিলায় (বর্তমান স্মৃতি সৌধ) সুপাতলার ঘোষ পরিবারের ১২জনকে একই সাথে হত্যা করে। যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলায় ৬টি গণকবর আবিষ্কার করেন।
এদিকে বিয়ানীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে কোথাও কোন আনুষ্টনিকতা ছিলনা। উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক সংগঠন কোন কর্মসূচি পালন করেনি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com