প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছে দুদক

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছে দুদক

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৭ কর্মকর্তা, ভারতীয় দুই নাগরিকসহ ১৯ জনের তথ্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর চিঠি দিয়ে এসব ব্যক্তির বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, কাজের পরিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা এবং নীতি শিথিলতার আড়ালে ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে।

Manual6 Ad Code

তালিকায় আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। রিজার্ভ চুরির সময় আতিউর রহমান গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। ওই বছরের ১৫ মার্চ তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এ ছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা রয়েছেন এ তালিকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক ও আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়ের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মেজবাউল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মাসের নোটিশ দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তালিকায় রয়েছেন কমন সার্ভিস বিভাগ-২-এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিন। চিঠিতে মসিউজ্জামান খানের নাম দুবার উল্লেখ আছে, অপর জায়গায় তার পরিচয় উল্লেখ রয়েছে উপপরিচালক হিসেবে। দুজনই একই ব্যক্তি বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ ছাড়া অন্য সবাই রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

Manual3 Ad Code

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া দুই কোটি ডলার ওই সময়ই ফেরত পায় বাংলাদেশ। আর ফিলিপাইনে নেওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেশটির আদালতের নির্দেশে ক্যাসিনো মালিক কিম অং ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রায় দেড় কোটি ডলার ফেরত দেন। বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে ফিলিপাইনের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বাংলাদেশের পক্ষে ১২টি মামলা করেছে, যা চলমান। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণ ও ছাড়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি বিভাগ সম্পৃক্ত রয়েছে। এসব বিভাগ হলো- ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগ।

দুদকের চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিনটি ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ‘সুইফট’ সংযোগ দেওয়ার কাজ করেছিলেন। আর রিজার্ভ চুরির পর কীভাবে ‘ফায়ার ওয়াল’ ভেদ করে চুরি হলো সেই তথ্য উদ্ধারের জন্য রাকেশ আস্তানাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code