প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

“বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৫টি কমিটির সভাপতি!”

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ণ
“বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৫টি কমিটির সভাপতি!”

এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
মো: গোলাম মুস্তফা মুন্না। এস.এস.সি পাশ করেছেন ২০০৮ সালে। নিয়োগ পেয়েছেন ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের তথাকথিত বিসিএস পরিক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মানচিত্রের ভিতরে প্রতিটি মানুষকে নিয়মের ভিতরে রেখে চলাফেরা করার দিক নির্দেশক জনাব মুন্না। কি যোগ্যতম ব্যক্তি! সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় ১৪৫টি কমিটির সভাপতি। ভদ্রলোকের কি আশ্চর্য্য ক্ষমতা?। কি দুর্দান্ত ক্ষমতা। ম্যানেজ করতে পারেন সহজে। বি.এন.পি এর নেতা কর্মীরা তাহার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে খাঁটি বি.এন.পি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরা তাহার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে খাঁটি জামায়াতে ইসলামী এবং বৈষম্য বিরোধী নেতারা তাহার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তিনি হয়ে যান প্রধান সমন্বয়ক। আসলে তিনি কার! প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আসলে তাহার প্রকৃত পরিচয় রাষ্ট্রের গোলাম। গোলামের কাছ থেকে আমরা রাষ্ট্রের মালিক আমজনতা বা জমিদার কখনও কোন আনুকুল্য আশা করি না। করার কথা ও নহে। কারন প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদ হল নাগরিক। নাগরিক না হলে সুইপার থেকে প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদ কেবিনেট সেক্রেটারি এমন কি রাষ্ট্রপতি হওয়া যায় না? নাগরিকরা কেন যাবে তাহার দয়া বা দক্ষিনা নিতে? প্রশ্নই আসে না। কিন্তু দুঃখ লাগে রাষ্ট্র বিনির্মানে সাধারন মানুষের ভ‚মিকা অসীম। কর্মচারী যখন জমিদারদের সাথে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করিবে। এটা কিন্তু মেনে নেওয়া যায়? কিছু নেতা কর্মী লাল চা তে আসক্তির কারনে নির্বিঘ্নে তাহার কার্যালয়ে যান। তাহাদের আশ্বাসে, হয়তঃ তিনি ক্ষমতা প্রদর্শন করে থাকেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী শারমিন নেওয়াজ শুনতে পেলাম ষ্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছেন। ভূমি অফিসের দুর্বৃত্ত (চেইন ম্যান ) আব্দুল ওয়াদুদ প্রশাসনের সৌর্সম্যান হিসাবে সাধারন জনগনকে নির্যাতন করিতেছে। সে তো বহাল তবিয়তে থাকিবে। প্রশাসন তো তাহার পক্ষে থাকার কথা। কারন সে তো প্রশাসনের অন্যতম আয় রোজগারের যোগান দাতা। তাহার সোজা হিসাব ১ লক্ষ টাকা ঘোষের মধ্যে তাহাকে ১ হাজার টাকা দিলেই চলবে। মূল কথায় চলে অসি। জনগনের সক্রিয় অনুদানের টাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহ প্রতিষ্ঠিত। জনগনের অর্থায়নে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রায় ৪০/৪৫টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে তাহাদের অবদান চীর স্বরনীয়। কিন্তু আজ তাহারা উপেক্ষিত। প্রতিষ্ঠান যখন নিজ স্বকিয়তায় গৌরব উজ্জল অবদান রাখিতেছে, সরকার তখন এম.পি.ই. ও ভুক্তির মাধ্যমে সরকারী নিতিমালায় নিয়ে আসেন। এটাই স্বাভাবিক। এখানে সাধারন জনগনের কোন আপত্তি নেই। বিয়ানীবাজার জনগনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন বা তাহাদের নিজস্ব অর্থায়নে ৩/৪টি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও বিধিমোতাবেক সরকার দেখবালের দায়িত্ব গ্রহন করেছে। মাধ্যমিক বা কলেজের সকল শিক্ষক-ই মাষ্টার্স বা ডাবুল গ্র্যাজেয়েশন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেয়ালের চারপাশে সারাটা দিন বিদ্যালয় বা কলেজের কাজে ঘোর ঘোর করে থাকেন। কখন মহাব্যস্ত মুন্না সাহেবের সাথে একটু দেখা করা যায়। এসব শিক্ষকরা বয়সের হিসাব গননা করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: গোলাম মুস্তফা মুন্না সাহেবের পিতৃতুল্য। কিছু আচরনে মনে হয়, তিনি হয়ত তাহার জন্মদাতা পিতা মাতার সাথে এভাবে বেয়াদবি করে থাকেন। এটা তাহার স্বভাবজাত গুন হতে-ই পারে। প্রবাদ আছে, ব্যবহারে বংশের পরিচয়। এদিকে বিয়ানীবাজার পৌরসভা অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন সেবাখাত। প্রবাসী অদ্যুসিত এলাকা। সারিবদ্ধভাবে দিনের পর দিন সাধারন জনগন অপেক্ষা করে থাকেন তাহার সাথে দেখা করার জন্য। সামান্য সেবার আশায়। কোন কোন ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা সেবা পেয়ে থাকেন। বিচক্ষন কর্মকর্তা মো: গোলাম মুস্তফা মুন্না বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক। ১৪৫টি কমিটি আগামী প্রজন্ম পত্রিকায় দেওয়া তথ্য মতে সহ বিয়ানীবাজারের আপামর জনগনের সমস্যা ও সমাধানের ক্ষমতা এককভাবে দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক। কোন দায়িত হাতছাড়া করার মত ব্যক্তি নহে। রাজনৈতিক বিরোধকে প্রাধান্য দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কমিটি সমুহের অনুমোদন এর সুযোগ দেন না। মনের মাধুরী বা নিজস্ব ভাষায় অভিযোগ দেওয়া জনগনের অধিকার। উত্তর তৈরীতে হয়ত বিধি মোতাবেক করবেন তিনি। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের বলব, আংগুল চুষুন, বিরোধ ঠিকে রাখুন, সুযোগ দিন কর্মচারীকে খবর দারী করার। অসহায় জনগন ও শিক্ষিত সমাজ। রাজনীতিবিদদের কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ৪০/৪৫টি এবং কলেজ ৩/৪টি এর সভাপতি। এই সব সুযোগ সন্ধানী সমরনায়ক, কৌশলী ও দ্বন্দ জিইয়ে রেখে অঘোষিত ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করিতেছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নহে। কেননা এসব প্রতিষ্ঠানে আপনার আমার ভাই ব্রাদাররা চাকুরী করিতেছেন। তাও আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চেয়ে শিক্ষায় দিক্ষায়, সামাজিকতায় অনেক উর্ধে। কোন কোন ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: গোলাম মুস্তফা মুন্না এসব শিক্ষকদের ছেলের সমতুল্য।
বাকী অংশ আগামী পর্বে দেখুনঃ
লেখক, সভাপতি, সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিয়ানীবাজার, সিলেট। মোবাইল: ০১৮১৯-১৭৬২১৭

Sharing is caring!