প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ভাবি-ভাতিজিসহ ৩ জনকে হত্যার দায়ে দেবরকে যে দণ্ড দিলেন আদালত

editor
প্রকাশিত মে ২০, ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
ভাবি-ভাতিজিসহ ৩ জনকে হত্যার দায়ে দেবরকে যে দণ্ড দিলেন আদালত

মাধবপুর প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাবি ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় দেবর শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে)দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) উপজেলার বীরসিংহপাড়ার প্রয়াত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

নিহতরা হলেন- বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), তার মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় শাহ আলম তার ভাবি জাহানারা ঘরে প্রবেশ করে মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আহতদের চিৎকার শুনে শিমুল এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর বাকি দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সময় নিহতের স্বামী দুবাই প্রবাসে থাকায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ শাহ আলমকে গ্রেফতার করে কারগারে প্রেরণ করেন।

এদিকে আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন জানান, তিনি গ্রীস প্রবাসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফা টাকা পাঠান, এছাড়াও পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।

নিহত জাহানারা খাতুনের স্বামী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাই।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।

Sharing is caring!