প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হবিগঞ্জে হ ত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারা দন্ড

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ
হবিগঞ্জে হ ত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারা দন্ড

Manual5 Ad Code

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

Manual2 Ad Code

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ এর বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক) সৈয়দা মিনহাজ উম মুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পেশকার ফজলু মিয়া জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র আনকার উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

Manual4 Ad Code

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হল, নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র ইলাক উদ্দিন, একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র আনছার উদ্দিন, মৃত মজই উল্লার পুত্র নুরুল হক, মৃত তাজু উল্লার পুত্র জসিম উদ্দিন, মৃত তুতা মিয়া পুত্র মোঃ আব্দুস ছোবহান, মোঃ আব্দুস ছোবহানের স্ত্রী সাহিদা বেগম, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেগুন বিবি, মোঃ মকবুল উল্লার স্ত্রী সাইরুন বেগম, পূর্ব কসবা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস ছোবহানের কন্যা সাহিনা বেগম ও উপজেলার মধ্যসমত গ্রামের বাসিন্দা মৃত আদর উল্লার পুত্র মোঃ মঈন উদ্দিন।

Manual4 Ad Code

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামে রিফা বেগমের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী উল্লেখিত আসামিদের জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসামি আনকার উদ্দিনের আঘাতে রিফার পিতা ছুফি মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর রিফা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার তৎকালীন এসআই সুব্রত সরকার। তিনি ২০১০ সালে আদালতে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আদালত ১১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আনকার উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন। তবে অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, এই রায়ে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code