প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

‘হয় চুক্তি নয়তো ১৫৫ শতাংশ শুল্ক’— চীনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ণ
‘হয় চুক্তি নয়তো ১৫৫ শতাংশ শুল্ক’— চীনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘ন্যায়সঙ্গত’ চুক্তি সম্পন্ন করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চীন যদি এই চুক্তিতে রাজি হয়, তাহলে ভালো, আর না হলে দেশটির পণ্যের ওপর ১৫৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক জারি করা হতে পারে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে একটি ন্যায্য বাণিজ্যিক চুক্তি করতে চাই এবং আমি আশা করছি, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবেন।’

Manual1 Ad Code

চীন যদি বাণিজ্য সমঝোতায় আগ্রহী না হয়, সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন কী পদক্ষেপ নেবে— এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা একটি ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে চীনা পণ্যের পর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। হয় তারা সমঝোতায় আসবে, নয়তো উচ্চ শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্যায্য ফায়দা লুটছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’

Manual2 Ad Code

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, যার মধ্যে খাদ্য থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও রয়েছে। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনাকে প্রাধান্য দেবেন তিনি।

Manual1 Ad Code

গত আগস্ট মাসে চীনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধ’ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের। ওই মাসে চীনের ওপর ধার্যকৃত রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশ বর্ধিত করে। পরে অবশ্য ওই মাসেই বেইজিং-ওয়াশিংটন উভয়েই পরস্পরের ওপর আরোপিত বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে, যা নভেম্বর মাসে শেষ হবে।

এদিকে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প এবং জিনপিং— উভয়েরই সেই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যাওয়ার কথা আছে এবং মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code