প্রজন্ম ডেস্ক:
মামলা করা যত সহজ, প্রমাণ করা ততোধিক কঠিন। ফলে অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় আসামিরা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৪ সালে দুর্নীতির অভিযোগে যেসব মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে, তার ৫৩ শতাংশ আসামি আদালত থেকে খালাস পেয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, মামলা থেকে আসামিরা পার পাচ্ছে কেন? এর পেছনে কারণইবা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে দুর্বলতা রয়েছে। আবার কেউ কেউ আছে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অনুসন্ধান ও তদন্তে ফাঁকফোকর রাখে। আবার কোনো কোনো মামলা আদালতে যুক্তি, তর্ক ও সাক্ষী হাজিরের মাধ্যমে প্রমাণে আইনজীবীদের গাফিলতি থাকে। ফলে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অভিযুক্তরা রেহাই পেয়ে যায়।
দুদকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই বছর ২৯৫টি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। ১১৬টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। আর ৪১টি মামলা ‘অন্যভাবে’ খালাস হয়েছে। অর্থাৎ ১৫৭টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক প্রথমে গোপনে অনুসন্ধান পরিচালনা করে। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা মিললেই প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অনুসন্ধান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করে। এরপর মামলার তদন্ত পর্যায়ে আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের পর তা পর্যালোচনা শেষে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
দুদকের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, অভিযোগ প্রমাণে তথ্য-প্রমাণ, দুদক ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদালত দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করে। আর সেই রায়ে অর্ধেকের বেশি আসামি খালাস পেয়ে যায়। গত বছর দুর্নীতির দায় থেকে প্রায় ৫৩ শতাংশ অভিযুক্ত রেহাই পেয়েছে। দুদকের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দুদক যেসব অভিযোগ অনুসন্ধান করে সেগুলো দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার সোর্স থেকে আসে না। অভিযোগ আসে জনগণের থেকে। সে কারণে আক্রোশমূলক অনেক অভিযোগ থাকে। সেগুলোর অনুসন্ধান, তদন্ত ও শুনানিতে দুর্বলতা থাকায় অভিযুক্তরা খালায় পায়। একই সঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আনতে হবে। আদালতে দুদকের আলাদা প্রসিকিউশন গঠন করতে হবে।
দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৪ হাজার ২৮৫টি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান ছিল। এর মধ্যে ৮৬১টি অভিযোগের অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫১টি অভিযোগের ঘটনায় পাওয়ায় মামলা করা হয়। একই সময়ে ৩১৮টি অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়। এ ছাড়া অন্যভাবে আরও ১৫৬টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি করা হয়। অর্থাৎ গেল বছর অনুসন্ধান শেষে ৪৫১টি মামলা করা হয়। আর ৪৭৪টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দুদকের ২ হাজার ১৫৬টি মামলার তদন্ত চলমান ছিল। একই সময়ে ৫১৮টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৩টি মামলায় চার্জশিট এবং ১০৭টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান শেষে মামলা করার পরও তদন্তকালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ১০টি মামলার তদন্ত অন্য সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৪১০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে কমিশন আমলের ৩ হাজার ৬৬টি এবং বিলুপ্ত ব্যুরো আমলের ৩৪৪টি মামলা রয়েছে। ওই বছর ২ হাজার ৯৮৮টি মামলার বিচারকাজ চলমান এবং ৪০০ মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। কমিশনের আমলের ২৭৪টি এবং ব্যুরো আমলের ২১টিসহ মোট ২৯৫টি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টি মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। ১১৬টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে অন্যভাবে ৪১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাজা হয়েছে ৪৬.৮০ শতাংশ, খালাস ৩৯.৪৯ শতাংশ, অন্যভাবে খালাস হয়েছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৫৩ শতাংশ খালাস পেয়েছে। আর মামলা হিসাবে মোট ১৫৭টি মামলার আসামিরা অভিযুক্ত থেকে রেহাই পেয়েছে।
দুদকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে কমিশনের আমলের ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ব্যুরো আমলের ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। তবে ১৩৮টি মামলায় আসামির সাজা এবং ১৫৭টি মামলায় আসামির খালাস ধরে হিসাব করলে সাজার হার ৪৬ দশমিক ৮০ শতাংশ আসামির সাজা এবং খালাস ৫৩ দশমিক ২০ শতাংশ দাঁড়ায়। সেই হিসাবে গেল বছর দুর্নীতির মামলার অর্ধেকের বেশি আসামি খালাস পেয়েছে।
এর আগে অনুসন্ধান পর্যায়ে ৮৬১টি মধ্যে ৪৭৪টি পরিসমাপ্তির করা হয়েছে। মামলার তদন্ত পর্যায়ে ৫১৮টি মামলার মধ্যে ১০৭টি পরিসমাপ্তি করা হয়েছে। তথ্য বলছে, অনুসন্ধান পর্যায়ে পরিসমাপ্তি, মামলার তদন্তকালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং আদালতে বিচারের খালাস পাওয়া আসামিসহ দুদকের তালিকায় ওঠা বেশিরভাগই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে যান।
দুদকের এত দীর্ঘ অনুসন্ধান-তদন্তের পরও বেশিরভাগ আসামি খালাস পাওয়ার বিষয়টিকে সংস্থাটির দুর্বলতা মনে করছেন অনেকে। দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন) এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মইদুল ইসলাম বলেন, দুদক তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে না। দুদক বিভিন্ন মানুষের দেওয়া অভিযোগ থেকে অনুসন্ধান করে। আমাদের দেশে অভিযোগ দেওয়া হয় কাউকে হয়রানি করতে, কারও ওপর শোধ তোলার জন্য এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে অভিযোগগুলো দেওয়া হয়। ওই ধরনের মেরিটবিহীন অভিযোগগুলো অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়। অনুসন্ধানের গৃহীত অভিযোগগুলো যারা যাচাই-বাছাই করেন, তারা সেটি ঠিকমতো করেন না। এতে করে অনুসন্ধানের সংখ্যা বাড়ে। মানুষের কাছ থেকে আসা অভিযোগ থেকে দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট থেকে অভিযোগ বেশি আসা উচিত। তাহলে দুদকের কাজে গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
মইদুল ইসলাম আরও বলেন, তদন্তের ক্ষেত্রে একই ঘটনা। যেহেতু অনুসন্ধানেই দুর্বলতা থাকে, সেই দুর্বলতা নিয়ে যেনতেন প্রকারে একটা মামলা করে দেয়। এ কারণে দুদকের মামলার সংখ্যা বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও তদন্ত বৃদ্ধির ফলে দুদক কর্মকর্তাদের কাজের ভলিউম বেড়ে যায়। ফলে তারা যে গুণগত মানসম্পন্ন তদন্ত করবে বা বড় বড় দুর্নীতির তদন্ত করবে, সেগুলো বাধাগ্রস্ত হয় এবং তদন্ত দীর্ঘায়িত হয়।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, দুদকের অনুসন্ধান অনেকটাই তদন্তের মতো। তারা কাগজপত্রভিত্তিক অনুসন্ধান করে। সেই জায়গায় কোনো অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ব্যতিক্রমী হওয়ার কথা। এত পরিমাণ অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি হওয়া দুঃখজনক। এটি দুদকের সময় ও শক্তিক্ষয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা। আদালতে দুপক্ষের যুক্তি-তর্কের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসামি খালাস হতে পারে। সেটার পরিমাণ যদি বেশি তাহলে তো তদন্তের ব্যর্থতা, সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। যারা ঠিকভাবে তদন্ত করেননি, অথবা সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করেই মামলা করা হয়েছিল। এ ধরনের অনুসন্ধান-তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ যাবৎকালে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধান-তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। জবাবদিহির আওতায় অনুসন্ধান, তদন্ত ও তদারককারী কর্মকর্তাদের আনতে হবে।
মইদুল ইসলাম আরও বলেন, মামলায় আসামি খালাসের ব্যাপারে আইনজীবীদের একটা ভূমিকা থাকে। দুদকের আইনজীবীরা আদালতে সংস্থাটির পক্ষে কাজ করলেন, কী করলেন না, সাক্ষী-প্রমাণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করলেন, কী করলেন না। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট পাবলিক প্রসিকিউটরদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। তাহলে না এই প্রবণতা কমানো যাবে না। যে চলছে সেটা দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, আপিলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আপিলে গিয়ে খালাসের মামলায় আসামির সাজা করানোর দৃষ্টান্ত খুবই কম। এখানেও রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সময়ের অপচয়। এসব থেকে পরিত্রাণে দুদক সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দুদকের কাজের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য বড় বড় প্রকল্প ও বড় বড় দুর্নীতির দিকে তাদের যাওয়া উচিত।
দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দুদক সবসময়ই রেকর্ডপত্রের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান, মামলা ও চার্জশিট দাখিল করে। আদালত থেকে যে পরিমাণ সাজা হয় সেটি সন্তোষজনক বলে আমরা মনে করি। তারপরও যারা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পান, তার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে।
দুদকের কিছু কর্মকর্তা আছেন, যাদের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে দুর্বলতা রয়েছে। আবার কেউ কেউ আছেন আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অনুসন্ধান ও তদন্তে ফাঁকফোকর রাখেন। এসব ফাঁকফোকর ধরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জোরালো ভূমিকা রাখেন। আদালতও বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের খালাস দেয়।
আবার কোনো কোনো মামলা আদালতে যুক্তি, তর্ক ও সাক্ষী হাজিরের মাধ্যমে প্রমাণে আইনজীবীদের গাফিলতি থাকে। অনেক সময় বিচারক নিজেও পক্ষপাতিত্ব করেন। নানাবিধ কারণে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অভিযুক্তরা রেহাই পেয়ে যান। এটি বন্ধ করতে হলে দুর্নীতি অভিযোগ অনুসন্ধান থেকে আদালতের বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। দুদক ও আদালত থেকে যারা রেহাই পান, সেগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দুদকের নিজস্ব প্রসিকিউশন বিভাগ চালু করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুদক অভিযোগের রেকর্ডপত্রের ওপর ভিত্তি করে মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আমাদের অনুসন্ধান ও তদন্ত সবই রেকর্ডপত্রভিত্তিক। দুদক রেকর্ডপত্রের মাধ্যমেই অভিযুক্তের সাজা নিশ্চিত করতে চায়। আদালত থেকে যখন রায় ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায় অনেক মামলায় আসামি খালাস পেয়ে যায়। কোনো মামলায় আসামি খালাস পেলে দুদকের লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন বিভাগ সেটি পর্যালোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে দুদক আপিল করেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, সেসব মামলায় আসামির সাজা হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দুদক। কিন্তু মামলার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তি-তর্ক ও প্রসিকিউটের দুর্বলতায় অনেক সময় আসামির সাজা হয় না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, দুদকের মামলার বিচারকাজে বিলম্ব। কোনো কোনো ট্রায়াল হতে সাত-আট বছর লেগে যায়। এই দীর্ঘ সময়ের কারণে মামলার সাক্ষী, ডকুমেন্ট ও প্রসিকিউটর যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন না। দুদকের মামলায় আসামির সাজা বাড়াতে হলে মামলার বিচারকার্য দ্রুত শেষ করতে হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com