প্রজন্ম ডেস্ক:
সবকিছুই ঠিক আছে আবার যেন কোনো কিছুই ঠিক নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনটি সত্য, মেলানোই যাচ্ছে না। তবে উদ্ভূত এক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে দেশ চলছে। একযোগে একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, গণ অধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নুরের ওপর আক্রমণে সবকিছুই ঠিক আছে এটা যেমন বলা যাচ্ছে না, আবার কোনো কিছুই ঠিক নেই সেটিও নিশ্চিত নয়। এ অনিশ্চিত অবস্থার জন্য লাগাতার বৈঠক চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে পরস্পরবিরোধী ও মুখোমুখি অবস্থান সরকারকে যেন বাড়তি চাপে ফেলে দিয়েছে। কোন পথে গেলে অস্থিরতা সামলে দিতে পারবে তার কূল-কিনারা পাচ্ছে না সরকার। গত রবিবার একাধিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার বৈঠক করে চাপ সামাল দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করলেও, পুরোপুরি চাপমুক্ত হয়েছে; তা বলা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, মব ভায়োলেন্স ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে এই মুহূর্তে সরকার কোন পথে যাবে সেটি বেছে নিতে পারছে না। কোথায় গেলে মিলবে সে পথ, তাও ঠিক ঠাওর করতে পারছে না। কৌশলগত কারণে ঠিক আছে, ঠিকভাবে চলছে এ দাবি সরকারকে করে যেতেই হচ্ছে। আসলে কী ঠিক আছে, কী ঠিক নেই অন্দরের সেই খবর শুধু সরকারই জানে। তবে ঠিক নেই দাবি করেই চলছেন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ অন্য অংশীজনরা।
নির্বাচন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ ও মতবিরোধের রাজনীতি কাক্সিক্ষত নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা উদ্বেগের বিষয়। তবে পরিস্থিতি যেদিকেই যাক, সরকারের কাছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আটকানোর আর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ফেব্রুয়ারির ভেতরে নির্বাচন দিতেই হবে এমন চাপই অনুভব করছে সরকার। সেই চাপ থেকেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিতে হয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাই আর নির্বাচন চাই না বলে বিরোধের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দলীয় এজেন্ডার কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে গেলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। দেশের বিদ্যমান নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সেরকম পরিস্থিতিতে আমছালা দুটোই চলে যেতে পারে।’ এমন পরিস্থিতিতে তিনি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপি বলছে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে। জামায়াতের দাবি, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। পিআর পদ্ধতিতে অনড় থাকা জামায়াত এ পরিস্থিতিতে সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে সেই শঙ্কাও প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন চায় দলটি।
দলগুলোর এসব চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতিতে গুজব ও গুঞ্জন ডালাপালা গজাচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের হঠাৎ তৎপরতা গুজব-গুঞ্জনে আরও রসদ জুগিয়েছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গেও। দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন দৌড়ঝাঁপকে এ দেশের সাধারণ মানুষ সন্দেহের চোখে দেখে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়ে দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, ‘অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমি স্পষ্ট করতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী। আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে সমর্থন করি, যাতে আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।’
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে তাদের লক্ষ্য ও অঙ্গীকার বুঝতে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। একইভাবে কোনো রাজনীতিককেও আমরা সমর্থন করি না, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য জানার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো ফলাফলকেই সমর্থন করি না। এটা একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তাদের যাত্রাপথ দীর্ঘ করেছে বলে অস্থিরতায় ভুগছে। ছয় মাসের মধ্যে এ যাত্রার ইতি টানলে পথহারা হওয়া লাগত না।’
বিএনপিসহ একটি অংশ দাবি করছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে অকাট্য কোনো যুক্তি-প্রমাণ নেই রাজনৈতিক দলগুলোর এ বক্তব্যের ভেতরে। আবার নির্বাচন হবে দাবি করে সরকার যে বক্তব্য রাখছে, সেটিতে আস্থা রাখার মতো দৃশ্যত কোনো কিছুরই দেখা মিলছে না।
বিএনপির শীর্ষ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ অস্থিরতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘সর্বস্তরে অস্থিরতা। নির্বাচিত সরকারই এটি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’
এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের বৈঠক ‘গুঞ্জনের আগুনে’ ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গত রবিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের খবর গুঞ্জনকে আরও শক্তিশালী করেছে। তবে এসব বৈঠক-পরবর্তী সরকারি মহলের বক্তব্যে খারাপ কোনো ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অস্থিরতার পেছনের কারণ কারোরই জানা নেই। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে একটি শক্তি তৎপর থাকলেও এখানে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ঘটছে সেটিও ঠিক নয়। বিভিন্ন বিশ্লেষক বলেন, নির্বাচনের প্রায় ছয় মাস দেরি। তাছাড়া তফসিলও ঘোষণা হয়নি। এত আগে নির্বাচন ঠেকানোর ষড়যন্ত্র শুরু হওয়ার কথা নয়। ছয় মাস আগে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত শুরু করে দীর্ঘ সময় সেটি চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। নির্বাচন আটকানোর ষড়যন্ত্র মূলত তফসিল ঘোষণার পরই হওয়ার কথা। তাহলে কেন অস্থিরতা সেটির প্রকৃত কোনো তথ্য কারোরই জানা নেই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা কি এ সরকারের কাছে নিরাপদ?’ গতকাল তিনি এ প্রশ্ন ছুড়েছেন।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিএনপিকে বারবার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও প্রতিবারই শক্তিশালীভাবে ফিরে এসেছে ফিনিক্স পাখির মতো’ এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নিয়োজিত। আমাদের ধ্বংস করার চেষ্টা বারবার হয়েছে। তবুও বিএনপি প্রতিবারই ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে এসেছে।’ গতকাল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের নেতারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে আমাদের প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে মামলার মুখোমুখি করা হয়েছে, প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য দিয়ে জানায়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রথমে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান তার সাম্প্রতিক চীন সফরের বিভিন্ন বৈঠকের অভিজ্ঞতা ও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং তা উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় সেনাপ্রধান আশ্বস্ত করেন যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
সরকারের ঘোষিত সময় অনুযায়ী, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকাল সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এনসিপিসহ কয়েকটি দলের দাবি-সংস্কার এবং বিচারের পর নির্বাচন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যারা পক্ষশক্তি, তাদের বিচার-বিবেচনাবোধের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন। নির্বাচন কমিশনকে সেরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। এর আগে কিছু বিষয়ে যে মতভিন্নতা ও মতভেদ রয়েছে, আমরা আশা করি সেগুলো দূর হয়ে যাবে।’ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য যদি শেষ পর্যন্ত থাকে, তখন কি সময়মতো নির্বাচন সম্ভব হবে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, “এটা তো আপনারা ‘যদি’র ব্যাপার বললেন। নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যে অবস্থান, সেটা আমরা বারবার বলেছি।”
এনসিপি চাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা দলীয় বক্তব্য। তাদের দলীয় বক্তব্য নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমি সরকারের বক্তব্যটা বললাম।’
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত এক বছরে মাঝেমধ্যে বেশ অবনতি হয়েছে, আবার ভালো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিপ্লব-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজে বিভিন্ন রকমের অস্থিরতা থাকে। এসব অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাঝেমধ্যে যে অবনতি ঘটে, সেটা যতই দুঃখজনক হোক, হতাশাজনক হোক, এটি খুব অস্বাভাবিক বলে মনে করি না।’
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com