প্রজন্ম ডেস্ক:
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেÑ এটা ধরেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিগুলো সম্পন্ন করতে চায় সংস্থাটি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার লক্ষ্যে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার ওপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। তারা নিরপেক্ষভাবে কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়ে ভোট নিয়ে জনগণের মধ্যে যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে চায়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিকেও ভালোভাবে লক্ষ রাখছে ইসি। বিশেষ করে এই বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে, তাদের পরামর্শ ও মতামত নিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নানা কারণে এবারের নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের কাছেও জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে কমিশন। এবারের নির্বাচনের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছেÑ এর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে যে আস্থাহীনতা রয়েছে, সেটা ফিরিয়ে আনা ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাও অরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সহযোগিতায় বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ইসিকে। এজন্য সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির যে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানেই অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচন নিয়ে যেসব ঝুঁকি রয়েছেÑ সেগুলোকে এখনই চিহ্নিত করে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলেও মনে করেন নির্বাচন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত রোডম্যাপে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি কার্যাবলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এদিকে রোডম্যাপ ঘোষণার পর গত সোমবার নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয় জানতে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। তিনি প্রস্তুতির পাশাপাশি ‘মব’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, কালোটাকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিইসির কাছে জানতে চান।
সাক্ষাৎ শেষে সিইসি জানান, মার্কিন প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন। তিনি তাদের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং রমজানের আগে ভোট গ্রহণের কথা বলেছেন। এ কারণেই ইসি প্রস্তুতি জোরদার করেছে, যদিও প্রস্তুতি আগেই শুরু করা হয়েছিল। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব যেহেতু আমাদের হাতে, সেহেতু ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক থেকে বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণসংহতি ও এবি পার্টি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে পারেনি। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বৈঠকে তারা দুটি বিষয় বলেছেন। একটি হলো, নির্বাচনী পরিবেশ এবং অন্যটি বিচার ও সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সমন্বয় করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিচার ও সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচার দৃশ্যমান করা যেমন জরুরি, তেমনি সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সেটাও জরুরি। যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয়, কিন্তু দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো বর্তমান সরকারকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। যেটি পরে সংসদ বৈধতা দেবে।
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। তার দল এবি পার্টি বৈঠকে এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেছেন। তারা মনে করেন, এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের যে সংশয় রয়েছে, তা কাটানো যাবে না। সরকারের কার্যক্রমে সমন্বয় ও দৃঢ়তা এবং সুশৃঙ্খলতার খুব অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে নুরুল হক আহত হওয়া এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমরা দেখেছি যে, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্বের একটা ঘাটতি আছে।
নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা প্রসঙ্গেও বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবি পার্টি। মজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যারা বিশেষজ্ঞ, অতীতে যাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে খ্যাতি আছেÑ এ রকম সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে যদি এ রকম লোক থাকে, তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে হলেও কাজ করানো যায়। আলোচনায় প্রশাসনিক রদবদলে লটারি পদ্ধতির বিরোধিতা করেন মজিবুর রহমান। তিনি ঝুঁকি ও জেলা উপজেলার দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে রদবদলের পরামর্শ দেন।
যা বলছে ইসি
এদিকে গত শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও এবারই ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি’ দেখছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘বিতর্কিত ভোটের’ জন্য ওই সময়ের দুই সিইসির জেলে যাওয়া এবং ‘জুতার মালা’ পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে বলেছেন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ। গত সোমবার তিনি বলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির চেষ্টা করছি। সঠিকভাবে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খরা বাহিনী যেন তাদের কাজ সঠিকভাবে করে, সেটাকে সমন্বয় করব। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন যদি আইনের মধ্যে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, আর মানুষ যদি বুঝতে পারে তিনি (নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা) নিরপেক্ষভাবে কাজটা করছেন, তাহলে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একক প্রার্থী থাকলে সে আসনে ‘না’ ভোটের বিধানসহ একগুচ্ছ সংশোধন এনে গতকাল মঙ্গলবার তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ভেটিংয়ের জন্য ২ সেপ্টেম্বর সকালে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
অন্যদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। এই লক্ষ্যে ১০ লাখের বেশি প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিভিন্ন গ্রুপে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভোটগ্রহণের চার-পাঁচ দিন আগে শেষ হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের ইলেকটোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ইটিআই) মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৩ ধরনের কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় চার মাস সময় লাগবে। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত মূল প্রশিক্ষণটা হবে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের। এদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি হবে বলে ইসি সচিবালয় জানিয়েছে।
এ ছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এজন্য তথ্য সংগ্রহে মাঠ কর্মকর্তাদের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইসি। উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে সব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্যানেল প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শ্রেণি বা গ্রেডভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।
এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে শুধু ভোটারদের আস্থা ফেরানোই নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আবদুল আলিম। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছেÑ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। তিনি বলেন, মব ভায়োলেন্স এবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এজন্য এসব সমস্যা এখনই দূর করা প্রয়োজন। সমন্বিত নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে কী কী ধরনের ঝুঁকি আসতে পারেÑ সে বিষয়গুলো চিহ্নিত করে, এখন থেকেই তা মোকাবিলা উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার
নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ পূর্ববর্তী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কোনো কর্মকর্তাকে এবার আর দায়িত্ব না দেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি রাজনৈতিক পক্ষপাত ছাড়াই সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো; নির্বাচনের আগে বেহাত হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
এদিকে এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। গত ২৮ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানানো হয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com