প্রজন্ম ডেস্ক:
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সমঝোতার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর অনড় অবস্থানের কারণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা অনেক দলই ছেড়ে দিয়েছে। বিভিন্ন দলের নেতারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সৃষ্ট জটিলতার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনেকাংশে দায়ী। ১৯৭২-এর সংবিধান ও জাতীয় মূলনীতিতে কমিশন হাত না দিলে রাজনৈতিক দলগুলোর মিলিত হতে কোনো অসুবিধা হতো না। এদিকে, সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এবার ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যের বিষয়টি স্বীকার করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কমিশন এখন ভাবছে সমঝোতায় না পৌঁছালেও ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সুপারিশমালা পেশ করে তারা বিদায় নেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘১৯৭২-এর সংবিধান ও মূলনীতিতে হাত দিয়ে কমিশন নিজেরাই নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলেছে। এ অবস্থায় আমরা সনদে স্বাক্ষর করব না।’ তার ভাষ্য, কমিশনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ালেও সমঝোতা হবে বলে মনে করি না। সিপিবি সভাপতি দাবি করেন, সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গুরুত্ব হারাতে শুরু করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সমঝোতার আশা আমি দেখছি না। মুক্তিযুদ্ধ ও মূলনীতি অস্বীকার করে সনদে স্বাক্ষর করা অসম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।’ জুলাই জাতীয় সনদকে সংবিধানের ওপর রাখার সিদ্ধান্তে কমিশন অনড় থাকলে, সমঝোতার আশা নিরাশায় পরিণত হবে বলে মনে করেন এই শীর্ষ নেতা।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সবাই মিলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল করে তুলছে। বৃহৎ স্বার্থে সবাইকে আরও নমনীয় অবস্থানে আসতে হবে।’
এদিকে, গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে ঐক্য-অনৈক্যের মধ্য দিয়ে সে বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো আবারও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা, যার মাধ্যমে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। তাদের দাবি, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজনৈতিক দলগুলো।
গতকালের বৈঠকে জুলাই সনদের সাংবিধানিক প্রস্তাবগুলো ‘সংবিধান আদেশ’-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এতে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন জানিয়েছে।
আগের অবস্থান থেকে কিছুটা ছাড় দিয়ে বিএনপি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলেছে। গণভোটের পক্ষেও মত দিয়েছে দলটি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণপরিষদের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে থাকলেও নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে সুরাহার জন্য দলগুলোকে অনানুষ্ঠানিক সংলাপের পরামর্শ দিয়ে ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ফের বৈঠক করে সমাধানে পৌঁছানো যাবে।
গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের সংলাপের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের চূড়ান্ত মতামত দলগুলোর সামনে উত্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদের মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করতে পারে। এ সংবিধান আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।’ বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ‘সংবিধান আদেশকে একটি গণভোটে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যা আগামী সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান আদেশ জনগণের অনুমোদন পায়, তবে তা প্রণয়নের তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত সরকারের কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সরকারের কাছে যেসব সুপারিশ পাঠানো হবে, তার মধ্যে এটিও থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তাবটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করেছি। অনেকে এটি সমর্থন করেছেন, আবার কেউ কেউ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ভিন্নমতও প্রকাশ করেছেন।’
বৈঠকে একাধিক দলের কাছ থেকে সনদ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব এসেছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ জানান, দলগুলো নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দলগুলোকে কিছুটা সময় দিতে চাই, যা তারা অনুরোধ করেছে। যাতে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিকল্পগুলো কমিয়ে আনা যায়। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে একাধিক বিকল্প পদ্ধতি সুপারিশ করতে চাই।’
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়াকে একটি ভালো বিকল্প উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার যদি রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার জন্য বলে, তাহলে তিনি তা করবেন।’ তিনি বলেন, ‘এ সরকারকে সবাই সমর্থন করেছে, এর কোনো বিরোধী দল নেই।’ এত বড় সমর্থন নিয়ে সরকার কেন আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘সরকার ও কমিশন গায়ে কাদা লাগাতে চাচ্ছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে কোন সময়ে, কোন প্রক্রিয়ায় সংস্কার করা হবে, তা স্পষ্টভাবে লেখা আছে। কেউ চাইলে এর বিরোধিতা করতে পারেন, কিন্তু জাতি এ ঘোষণাকে গ্রহণ করেছে।’
তবে তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণার ভিত্তিতে ‘আদেশ’ জারির কথা বলা হলেও এর কোনো সরাসরি আইনি ভিত্তি নেই। এটি আসলে জনগণের আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা ধরে নিয়েছেন, এটি করা হবে বলেই ঘোষণাকে আইনি ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি এখনই জুলাই সনদ কার্যকর করা হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এর বৈধতা কে দেবে? এখান থেকে অনুমোদন করা হলে তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে না, এমন নিশ্চয়তা কীভাবে পাওয়া যাবে? সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মতামত চাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সংবিধান আদেশ বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব কি না, তা স্পষ্ট করতে হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হলে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন হচ্ছে, সেখানে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থাকবেন। আবার কেউ কেউ রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন।’
তিনি বলেন, ‘১০৬ অনুচ্ছেদ সমাধান নয়। সংবিধান আদেশের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়া হোক, তার ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে। গণভোট সবচেয়ে শক্তিশালী। সংসদ মৌলিক সংস্কার বা সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে না।’
বাস্তবায়ন নিয়ে কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন। তবে তিনি সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার বিপক্ষে। এতে জুলাই সনদ আটকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রাসিন বলেন, ‘পরবর্তী সংসদে গিয়ে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হবে, আলোচনায় সেরকম একটি ইঙ্গিত রয়েছে। একটু ঘুরিয়ে ১০৬ অনুচ্ছেদকে সমানে আনা হচ্ছে। প্রশ্ন করব, পরবর্তী সংসদ এই মৌলিক সংস্কারগুলো করতে পারে কি না, তার মানে পরবর্তী সংসদের হাতে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, তারা এ সরকারের অধীনে সনদের বাস্তবায়ন চান। তাদের মতে, সর্বোত্তম পন্থা হলো গণপরিষদ। এটি একই সঙ্গে নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করতে পারে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের প্রস্তাবকে আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। বিশেষ করে আমরা আগে থেকেই গণভোটের কথা বলেছি। সেটি নির্বাচনের আগে হোক বা পরে হোক, গণভোট হতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে হবে না।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামতের বিষয়ে কথা বলেছে। নতুন করে জুলাই ঘোষণার ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ সামনে আনা হয়েছে। অথচ এর কোনো সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে। এটি আমাদের সংবিধানকে পাশ কাটানোর চেষ্টা। এর পক্ষে আমরা নেই। পরবর্তী নির্বাচন হবে, আমরা সেটাই চাই। নতুন কোনো আদেশের বিষয় চাই না।’
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও বিভাজনের দিকে উসকে দেওয়া হয়েছে। সরকার নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে আবারও দলগুলোর দিকে দায় ঠেলে দিয়েছে। দায় নিতে চাচ্ছে না।’
তিনি মনে করেন, এভাবে সময় বাড়তে থাকলে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা সহজ হবে। তাই সবাইকে ছাড় দিতে হবে। সংস্কার ও বিচার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত। বিষয়গুলো সরকারকে দেখতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের মতামতে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের কথা বলা হচ্ছে। বলা হয়েছে, জুলাই ঘোষণার ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটি করা হবে। অথচ ২৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে এটি স্ববিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিদ্যমান সরকার যেভাবে ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ক্ষমতায় আছে, সেরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি না; এরপর একটি অধ্যাদেশ হতে পারে।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবগত করা হবে।’ সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলেও জানান আলী রীয়াজ।
গতকাল বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট মতামত সুপারিশ হিসেবে আমাদের দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পক্ষ থেকে যেসব বক্তব্য ছিল, সেগুলোকে আমরা ছয় ভাগে ভাগ করেছি। আপনারা বলেছিলেন, বেশ কিছু বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়। আমরাও কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করেছি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। যেসব বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশে করা যায়, সেগুলো যেন তারা দ্রুত করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিতে পারি, যা বাস্তবায়ন তুলনামূলকভাবে সরকারের জন্য সহজতর হবে। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ও সাংবিধানিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’
আলী রীয়াজ জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুজন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
গতকাল তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com