প্রজন্ম ডেস্ক:
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সম্মেলনে বিশ্ববাসীর সামনে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অক্ষুণ্ন রাখতে সংস্কার কর্মসূচির উদ্যোগ এবং বৈশ্বিক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এসব ইস্যুতে সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন বিশ্বনেতারা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং অধিবেশনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওই ভাষণে তিনি একাত্তরের কথা, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান, সংস্কারকাজ, রোহিঙ্গা সংকট, প্রতিবেশী এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, বৈশ্বিক সংকটসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা বলেন। সম্মেলনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ এক ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ অতিক্রম করছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরও ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান তিনি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে উল্লেখ করে তার সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া একই দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে তাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
অন্যদিকে ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা গত বছর যে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে ভারত তা পছন্দ করেনি। এ কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোর ভুয়া খবর পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ভারত থেকে অনেক ভুয়া খবর আসছে। তারা প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে গত বছরের গণবিপ্লব ছিল একটি ইসলামি আন্দোলন। তারা আমাকে তালেবান নেতা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যিনি সমস্যার সৃষ্টি করছেন। এগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (এনজিআইসি) সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলটি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। উচ্চপর্যায়ের এ দলে ছিলেন সেøাভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লেভনেলিভ ও পেতার স্তোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট মøাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম।
আরও উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চারজন সাবেক সভাপতি, একাধিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা। আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব ও আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ‘আমরা আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন জানাতে এসেছি। আমরা আপনার পাশে আছি।’ বিভিন্ন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তাদের একজন বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। যে কোনো পরামর্শ বা সহায়তা প্রয়োজন হলে জানাবেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরকারী কেরি কেনেডি দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ‘মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আপনাদের অর্জন অসাধারণ।’ জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান শিগগিরই বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবে। এনজিআইসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজন হলে আমরা আছি।’
গত ২৩ সেপ্টেম্বরেও জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ৮০তম সাধারণ পরিষদের সভার ফাঁকে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং উরুগুয়ের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক ইউনূস। চিলির প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান ও উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের ফাঁকে গত ২৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেয় দুই দেশ। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকা সফরে আসতে পারেন।
বিনিয়োগ ইস্যুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ও স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা (সিএসও) ইমরান খান। তিনি এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ যাতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়ে সে জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পূর্ণ সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা। ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. অকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। আমি আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। এখানে আমি আপনার নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছি।’ প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের আবাসন সংস্থাকে (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউএন-হ্যাবিট্যাটের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ও নির্বাহী পরিচালক আনাক্লাউদিয়া রসব্যাকের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য টেকসই ও সাশ্রয়ী আবাসন সমাধান এখন অত্যন্ত জরুরি। প্রবাসীদের সঙ্গে যোগ দেওয়া এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সত্যিই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের তিনি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে অভিহিত করেছেন। প্রবাসীদের অপরিসীম অবদান স্বীকার করে অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত থেয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক উচ্চপর্যায়ের গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। নিউইয়র্কের একটি হোটেলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসকে থেয়ারওয়ার্ল্ডের আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। শিক্ষা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার পথপ্রদর্শক ভূমিকা এবং মানবকল্যাণে আজীবন প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে একাধিক উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেন। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন। রাজনৈতিক নেতাদের এমন অংশগ্রহণ এবারই প্রথম ছিল।
সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন নিয়ে তিনি এর আগেও একই বার্তা দিয়েছিলেন। তাই নির্বাচন ইস্যুতে এখন আর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে গিয়ে এত অল্পসময়ের মধ্যে যে কয়জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো নেতা করেছেন কি না জানা নেই। আসলে প্রধান উপদেষ্টার যে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি তার যদি আমরা কিছুটাও ব্যবহার করতে পারি তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। মনে হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টও তা চায়। জাতিসংঘও সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বলে। বাংলাদেশ ইস্যুতে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘ চাইলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে পাঠাতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত জাতিসংঘ কিছুই করবে না। অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ সই হওয়ার যে বার্তা দিয়েছেন তা ইতিবাচক। কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপিকে আগে রাজি করাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন। নিশ্চয়ই এখানে কিছু উদ্দেশ্য আছে। জুলাই সনদ, জাতীয় ঐকমত্য, নির্বাচন এসব ইস্যুতে সুরাহা করতেই নিয়ে গেছেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট সরকার আসার আশঙ্কা থাকবে না।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্কের পথে রওয়ানা দিয়ে সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধান উপদেষ্টা।
Sharing is caring!