প্রজন্ম ডেস্ক:
দেশে মূল্যস্ফীতির হার গত এক বছরে বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু রাজধানীর মধুবাগের সবচেয়ে বড় মুদি দোকান আলী জেনারেল স্টোরের কর্ণধার মো. আয়াত আলী বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, বেচাকেনা কমতির দিকে। এক বছরের ব্যবধানে তার দোকানে বিক্রি কমেছে ২০-২৫ শতাংশ। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ফলে তারা প্রয়োজনীয় পণ্যও কম পরিমাণে কিনছেন।
মো. আলীর এই কথার সূত্র ধরে বলা যায়, মধুবাগ এলাকার গৃহকর্মী সুলতানা খানমের কথা। তার স্বামী প্যাডেলচালিত রিকশাচালক। কিন্তু বর্তমানে ইঞ্জিনচালিত রিকশার দাপটে কমে গেছে প্যাডেলচালিত রিকশার ব্যবহার। ফলে প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা এখন আর আগের মতো আয় করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে মেয়ের জামাইও গ্রামে তেমন কোনো কাজ পাচ্ছেন না। ফলে স্বামী, ছেলে-মেয়ে, মেয়ের জামাই সবার খাওয়ার খরচ সুলতানাকেই বহন করতে হচ্ছে। এতে এক বছর আগে যেখানে তিনি তিন বাসায় কাজ করতেন; এখন তাকে কাজ করতে হচ্ছে পাঁচ বাসায়। তার শারীরিক পরিশ্রম যেমন বেড়েছে, তেমনি খাবার খাওয়ার মাত্রাও কমে গেছে। এতে তাকে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে কাজ কামাই দিতে হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এক বছরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমেনি। দাম বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কমার কোনো প্রভাব বা স্বস্তি অনুভূত হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ মানুষের স্বস্তি তখনই আসবে, যখন পণ্যের দাম কমবে। আগে দাম বেড়েছিল ১২ শতাংশ হারে, যা এখন ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমা মানে এই নয় যে, পণ্যের মূল্য কমেছে। এই বছরও পণ্যের মূল্য ৮ শতাংশের ওপরে বেড়েছে; অর্থাৎ মূল্য বৃদ্ধির হার কমেছে, কিন্তু মূল্য বেড়েই চলেছে। মূল্য বৃদ্ধির এই হার বাড়ছে বলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমার কোনো প্রভাব বা স্বস্তি অনুভূত হচ্ছে না। স্বস্তি তখনই আসবে, যদি পণ্যের মূল্যটা কমে। আগে যা ১২ শতাংশ হারে বাড়ছিল, এখন তা ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে, কিন্তু তা বাড়ছে তো। প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম এখনো বাড়তি। অন্যান্য পণ্যের দামও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি।
সরকারের উদ্যোগ
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোকেই অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। সেই অনুযায়ী সরকার বেশকিছু পদক্ষেপও নিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক গত এক বছরে তিন দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করে। এতে ব্যাংকঋণের সুদহারও ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারছেন না বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা। এতে মূল্যস্ফীতি খুব বেশি না কমলেও বিনিয়োগে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। কমেছে কর্মসংস্থান এবং প্রবৃদ্ধি। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল মূল্যস্ফীতি কমানো। কিন্তু সরকার তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কমাতে পেরেছে কি না, সেই বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা ধরনের পদক্ষেপ সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি কেন লক্ষ্য অনুযায়ী কমছে না, তা জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ ২০ আমদানিকারক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। বৈঠকে দেশের শীর্ষ ভোগ্যপণ্য আমদানিকারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেলটা অ্যাগ্রো ফুডের প্রতিনিধিরা।
এ সময় ব্যবসায়ীরা ঋণের সুদহার কমানো, পণ্য আমদানিতে নানা ধরনের সীমা প্রত্যাহার, বিক্রেতা ও ক্রেতার চুক্তির ভিত্তিতে নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ, নিত্যপণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক-কর না বসানো এবং ভোগ্যপণ্যে ঋণের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার প্রস্তাব দেন। ব্যবসায়ীদের সব দাবি মানতে না পারলেও ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন গভর্নর। এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর আবার সুদের হার ১ অঙ্কে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির গতিটাকে কমানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সফল হলেও, এটি সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।’ একদম সাধারণ মানুষের পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার মতো গতি হ্রাস ঘটেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনার সমালোচনা
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সরকার অন্যতম অগ্রাধিকার দিলেও সরকারের কৌশলে তার প্রভাব নেই। বিশেষ করে মুদ্রা বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি যতটা গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে, সরকার ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে দেখা যাচ্ছে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম কমলেও স্থানীয় বাজারে এখনো তা ১২২ শতাংশে ধরে রেখেছে সরকার। সেই সঙ্গে গত তিন মাসে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ বিলিয়নের বেশি (২০৮ কোটি ৮০ লাখ) ডলার কিনেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হলো, তারা রেমিট্যান্স এবং রপ্তানিকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইছে না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, যদি সরকার ডলার কেনা থেকে বিরত থাকত, তাহলে মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমানের ১২২ টাকা থেকে কমে হয়তো ১২০ টাকায় নেমে আসত। ডলারের দাম কমলে আমদানির খরচ এবং উৎপাদনের ব্যয় কমত, যা মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও সহায়ক হতো। কিন্তু সরকার রপ্তানি এবং রেমিট্যান্সের ঝুঁকি এড়াতে গিয়ে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি গ্রহণ করেছে।’
সরকারের এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ডলারের দর ১২০ টাকায় নেমে এলে রপ্তানি বা রেমিট্যান্সে বড় ধরনের দুর্যোগ নেমে আসবে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা যেত। প্রয়োজনে তা পরিবর্তন করা যেত। বর্তমানে যেহেতু মূল্যস্ফীতিই মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে, তাই ডলারের দামকে আরেকটু নামতে দিয়ে আরও আগ্রাসীভাবে কাজ করা উচিত ছিল।’
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর না পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে চালের দাম বাড়তি থাকা। গত দুই মাসে চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও বছরজুড়েই দাম চড়া। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যা আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে দুটি বিষয় কাজ করছে। প্রথমত, কর্মসংস্থান কমায় মানুষের আয় কমে গেছে। এতে চালের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে- বাজারে সরবরাহের ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও যে চালের দাম বাড়তি, এটি তার মূল কারণ। দ্বিতীয়ত, আমাদের মতো দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, এখানে মূল্যস্ফীতির ৪৮ শতাংশই হচ্ছে চাল থেকে। এটা সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোরই তথ্য।
অন্যদিকে, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিপিআরসির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারের মাসের মোট খরচের প্রায় ৫৫ শতাংশ চলে যায় খাবার কেনায়। একটি পরিবার খাবার কিনতে মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা খরচ করে। এ ছাড়া প্রতি মাসে শিক্ষায় ১ হাজার ৮২২ টাকা, চিকিৎসায় ১ হাজার ৫৫৬ টাকা, যাতায়াতে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা ও আবাসনে ১ হাজার ৮৯ টাকা খরচ হয়।
মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান নিয়ে এখনো প্রশ্ন
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের আগস্ট মাসে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। পরের মাসে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমে আসে। এরপর থেকে বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি কখনো বেড়ে আবার কখনো কমে সবশেষ গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
তবে মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাব বাজারে না থাকায় বর্তমান পরিসংখ্যান নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অর্থনীতির শিক্ষক এবং গবেষকদের মধ্যেও এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) সেপ্টেম্বর মাসের দৈনিক খুচরা মূল্য তালিকায় প্রায় সব মৌলিক খাদ্যপণ্যের দাম গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতির সরকারি পরিসংখ্যান বাস্তবতার চেয়ে অনেকটাই কম বলে মনে হয়। তাতে একটি মৌলিক প্রশ্ন সামনে চলে আসে, পরিসংখ্যান সংস্থাটি কি এখনো এমন নমুনা পদ্ধতি, বাজার কাভারেজ ও গুরুত্ব নির্ধারণের ধারা অনুসরণ করছে, যে কারণে সাধারণ ভোক্তার বাস্তব অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
বেড়েছে দারিদ্র্য, কমেছে বিনিয়োগ
বর্তমানে দেশের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থানের উৎসও আগের চেয়ে কমে গেছে। তিন বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য কমেনি, উল্টো বেশ বেড়েছে। দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২৭ দশমিক ৯৩ বা প্রায় ২৮ শতাংশ। সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসি তাদের ‘ইকনোমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউজহোল্ড লেবেল ইন মিড ২০২৫’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, দেশের জনগণ এখনো তিনটি সংকটের প্রভাবের মধ্যে রয়েছে- কোভিড (২০২০-২২), মূল্যস্ফীতি, ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।
পিপিআরসির গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে অতিদারিদ্র্যের হারও বেড়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালের অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ৫ দশমিক ৬। ২০২৫ সালে এসে অতিদারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। অর্থাৎ গত তিন বছরের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এখনো ১৮ শতাংশ পরিবার যেকোনো সময় গরিব হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। গত অর্থবছরজুড়েই তা ৭ শতাংশে আটকে ছিল। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে তা আরও কমে গেছে। সবশেষ গত আগস্ট মাসে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। গত আগস্ট মাসে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে বেসরকারি ঋণের যে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে, তা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন।
এই বাস্তবতায় দেশে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া মূলত চাহিদা হ্রাসের ফল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিনিয়োগ স্থবিরতার কারণে দেশে কর্মসংস্থান কমছে, সেই সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও। উচ্চ প্রবৃদ্ধি সব সময় সিংহভাগ মানুষের উপকারে আসে না; কিন্তু তারপরও প্রবৃদ্ধি দরকার। তা না হলে মানুষের অর্থের প্রবাহ কমে যায়। তখন মূল্যস্ফীতিও কমে যায়। বাংলাদেশে এখন ঠিক সেটাই ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আয় কমে দারিদ্র্য বৃদ্ধির মূল সমস্যা হলো মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমে যাওয়া।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com