স্টাফ রিপোর্টার:
গত ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের অনেক এলাকা। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন এগারোজন। আহত হয়েছেন চারশর বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকা ও নরসিংদী জেলার কয়েকটি ভবন। বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা করছেন, সামনে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে দেশে। এতে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে। এমনটি জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২২ নভেম্বরে পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৫/২৬ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখের মধ্যে। সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৩০ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’
কৃষকদের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি লেখেন, ‘ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালাক থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত জন্য রোদ্দৌজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।
সমুদ্রগামী জেলাদের জন্য পরামর্শ দিয়ে এ আবহাওয়াবিদ লেখেন, ‘নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। ২৯ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি লেখেন, ‘২৮ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্টমার্টীন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে এই সময়ে পর্যটন সম্পর্কিত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।’
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com