প্রজন্ম ডেস্ক:
দফায় দফায় সময়সীমা পিছিয়েও চালু করা হয়নি দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এজন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ার দোহাই দেওয়া হলেও প্রায় ৬ মাস আগে শেষ হয়েছে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজ। তারপরও কেন বিলম্ব? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু না হওয়ার পেছনে রয়েছে ভূরাজনীতি, প্রকল্পের কাজে তদারকির অভাবসহ বেশ কিছু কারণ।
প্রকল্পটি অন্তত তিন বছর পিছিয়ে থাকায় সাশ্রয়ী দামে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্রকল্পের কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অন্য ব্যয় বাড়ছে। উৎপাদন শুরুর আগেই গুনতে হচ্ছে ঋণের সুদ। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ইতিমধ্যে প্রকল্পটিতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব উঠেছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত দুই মাসে ‘ম্যাসিভ’ কাজ হয়েছে। নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে প্রকল্পকাজ। ডিসেম্বরেই প্রথম ইউনিটে ফুয়েল লোড করা যাবে ইনশাআল্লাহ। এরপরও না হলে সেজন্য রাশিয়ানরা দায়ী থাকবে।’
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট মিলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটম।
প্রকল্পটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। কয়েক দফা সময়সীমা পিছিয়ে সর্বশেষ চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। অনেক প্রস্তুতি এখনো বাকি। ফলে এ মাসে জ্বালানি লোড করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। জ্বালানি লোড করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে তিন মাস লাগবে। পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে লাগবে আরও সাত মাস। মোট ১০ মাস সময় লাগবে। এ হিসাবে এই মাসে জ্বালানি লোড করা হলেও প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ পুরোপুরি পাওয়া যাবে আগামী বছরের শেষ নাগাদ। দ্বিতীয় ইউনিট কবে চালু হবে সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান সচিব বলেন, ‘আমরা এখন প্রথম ইউনিটকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এরপর দ্বিতীয় ইউনিটে নজর দেব।’ সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনিট-১ ও ২-এর নতুন উৎপাদন সূচি এখনো নিশ্চিত নয়; প্রকল্প দপ্তর অসমাপ্ত কাজের তালিকা দিতে পারেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৬ বছরের প্রকল্প ৯ বছরেও শেষ না হওয়ার ক্ষতি অপূরণীয়। বিলম্বের কারণে বিদ্যুৎ না পেয়েও প্রতিদিন ১০-১২ কোটি টাকা সুদ গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এ ছাড়া সেখানকার কর্মীদের বেতন-ভাতা বাবদ ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হচ্ছে নিয়মিত। বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির আয়ুষ্কালও কমছে। কেন্দ্রটি চালু হলে সাশ্রয়ী দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। সরকারেরও আয় বাড়ত। অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানির আমদানি ব্যয়ও কমত। কমত লোডশেডিং। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে যত দেরি হবে ক্ষতি ততই বাড়বে।’
যেসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি : ধীরগতির কারণ অনেক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভূরাজনীতির বিষয়টিই বড় কারণ হয়ে উঠেছে; এর প্রধান অনুষঙ্গ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আবার কোনো কোনো ‘বড়’ দেশ বাংলাদেশের জন্য মর্যাদার ও গুরুত্বের এ প্রকল্পে যাতে বিলম্ব ঘটে তার জন্য কলকাঠি নাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে না হয়ে নির্বাচিত সরকারের আমলে কেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম ইউনিট মার্চে অথবা এর পরে চালু হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
বর্তমান বিজ্ঞান সচিব দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্পের গতি বেড়েছে। তিনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার চাপ দিচ্ছেন। এজন্য ঠিকাদারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নালিশ করা হয়েছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, ডিসেম্বরে ফুয়েল লোড করতে রাশিয়ান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিশ্ব জুড়ে রসাটমের সুনাম রয়েছে। বর্তমানে তাদের অন্তত আটটি দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে; যেমন বাংলাদেশ, ভারত, চীন, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তুরস্ক, মিসর ও হাঙ্গেরি।
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে দেরি হলে রসাটমের নির্মাণব্যয় বাড়বে। বিশ্বব্যাপী সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। তাহলে কেন তারা ইচ্ছে করে দেরি করবে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের সঙ্গে পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, শুরুর দিকে করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা দেরি হলেও তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল এবং অনেকটা করা হয়েছেও। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ বেশ ব্যাহত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের দেশগুলো রূপপুরের জন্য যন্ত্রপাতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ইউক্রেন থেকে যেসব যন্ত্রপাতি আনার কথা ছিল, তাও বাতিল করে দেয় রাশিয়া। এরপর বিকল্প উৎস থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়। এসব যন্ত্রপাতির বড় অংশ সরবরাহ করে চীন। রাশিয়া থেকে রূপপুরের পণ্যবাহী জাহাজ আসা নিয়েও জটিলতা ছিল। একবার জাহাজ ফেরত পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। রসাটমকে এখন এক জায়গার যন্ত্রপাতি অন্য জায়গায় পাঠিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ইউনিটের মালামাল খুলে প্রথম ইউনিটে স্থাপনের নজির রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রসাটমকে চিঠিও দিয়েছে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
এখন বিজ্ঞান সচিব বলছেন, ‘ঠিকাদার তার কাজের সুবিধার্থে প্রথম ইউনিটের যন্ত্রপাতি দ্বিতীয় ইউনিটে লাগাতে পারে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎপ্রকল্পের কাজের তদারকি এবং রাশিয়ানদের কাছ থেকে ঠিকমতো কাজ বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশের। তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
বিশেষ করে বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি নেমে আসে। তার কারণে অনেক কিছুই সময়মতো শেষ করা যায়নি। অবশ্য এর আগেও কিছু কিছু কাজ নির্ধারিত সূচি মেনে হয়নি।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিককালে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, এটা হয়ে গেছে বা ওমুক সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এমনকি ২০২৩ সালে যে কাজ করার কথা ছিল, তাও বাকি ছিল। চাপ দিয়ে সে কাজ এখন এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে স্পর্শকাতর এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোড করা হলে ভবিষ্যতে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞান সচিব আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘সবার আগে নিরাপত্তা। গুণগত মান এবং শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এ নিয়ে কোনো আপস করা হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর ধীরে ধীরে জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হবে।’
প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত : বিভিন্ন সময়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না হওয়া। এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, পারমাণবিক বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ছয়টি সঞ্চালন লাইনের চারটির কাজ পুরোপুরি শেষ। সর্বশেষ রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের কাজও শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এখন প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত পিজিসিবি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ নিতে যে দুটি সঞ্চালন লাইন দরকার তার স্থলভাগের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি যমুনা রিভার ক্রসিংয়ের কাজ। আগামী বছরের মাঝামাঝি এ কাজও শেষ হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু না হওয়ায় কোনো আয় না থাকায় লাইন নির্মাণে পিজিসিবির হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ অলস বসে আছে। উল্টো ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। এ কথাও ঠিক, পিজিসিবিও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। ২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদন পাওয়া এ লাইনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের মধ্যে।
প্রকল্প ব্যয় ও আর্থিক চাপ বাড়ছে : প্রকল্পের মোট ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার, এর ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ঋণের কিস্তি শুরু হবে ২০২৯ সালের মার্চে। প্রতি বছর দুই কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। ২০ বছরের মধ্যে কোনো কিস্তি পরিশোধে ৩০ দিনের বেশি দেরি হলে বার্ষিক সুদ গুনতে হবে ১৫০ শতাংশ।
চুক্তি অনুসারে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও খরচ বাড়াতে পারবে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্পের মোট ব্যয় বাড়ছে ২৬ হাজার ১৮১.২৬ কোটি টাকা, যা মূল প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় ২৩.১৫ শতাংশ বেশি। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসাব সমন্বয় করে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৭৪.১৭ কোটি টাকার প্রস্তাব গত ২৭ নভেন্বর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। মূল প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২.৯১ কোটি টাকা।
ব্যয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও বেড়েছে। মূল প্রস্তাবে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাস্তবায়ন শুরু করা প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। এখন এ মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরমাণু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো শফিকুল ইসলাম মনে করেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। ভূরাজনীতিতে এটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। এর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যত দেরি হবে, ততই অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে।’
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com