প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ণ
জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

 

পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে পারা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও তা কাটিয়ে ওঠার সব পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই বিনামূল্যের সব পাঠ্যবই সারা দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে চায় এনসিটিবি। এ লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় ছাপা হবে মাধ্যমিকের এক কোটি বই।

 

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই ছাপিয়ে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের পাঠ্যবই ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপা শেষে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর বছরের শুরুতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতেও পাঠ্যবই পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এক কোটি পাঠ্যবই ডিপিএম পদ্ধতিতে (টেন্ডার ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) ছাপার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই এক কোটি বই ছাপতে দেওয়া হয়েছে আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে।

 

দেশে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহের শুরু থেকে প্রত্যেক বছরের প্রথম দিন উৎসব করে বই বিতরণ করা হতো। ২০১০ সাল থেকে ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসব করেই বিনামূল্যের বই দিয়ে আসছে সরকার। এবার নতুন বছরে পাঠ্যবইয়ের উৎসব হবে না। তবে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ শুরু করা হবে। এনসিটিবি জানায়, জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার রবিবার (১৭ নভেম্বর) সাংবাদিকদের বলেছেন, বিগত কয়েক বছর থেকে পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব করে আসছে সরকার। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি জানুয়ারিতে বই দেওয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা পরিমার্জন হয়েছে। প্রাথমিকের বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারবো।

 

এনসিটিবি জানিয়েছে, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। এর মধ্যে মাদ্রাসার এবতেদায়ি এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখের মতো এবং প্রাথমিক স্তরের বই ৯ কোটি ২০ লাখের মতো। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে (২০১৩ সাল থেকে পাঠ্যবই) ফেরত যাওয়ায় মাধ্যমিকের বইয়ের সংখ্যা এবার বাড়ছে। কারণ স্থগিত হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীকে ১৪টি করে বই পড়তে হতো। আর ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২২টি করে এবং নবম দশম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩৩টি করে বই ছাপতে হতো। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের পড়তো হতো ১৪টি করে পাঠ্যবই।

 

এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ.কে.এম. রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই স্কুলে স্কুলে চলে যাবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মূল পাঁচটি বই ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই দিয়ে দিতে পারবো। এতে ৭৫ শতাংশ বই কাভার হবে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে। আমাদের পরিকল্পনা, ৯০ শতাংশ বই তৈরি হয়ে যাবে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাবে। মাধ্যমিকের এক কোটি বই ছাপানোর জন্য সরাসরি আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দিয়েছি সরাসরি ডিপিএম পদ্ধতিতে (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যাটার)। যাতে বই ছাপার প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয়।’

Sharing is caring!