প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দাম্পত্য কলহের দোষ ঘটকের! গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর

editor
প্রকাশিত জুন ১৯, ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
দাম্পত্য কলহের দোষ ঘটকের! গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর

Manual7 Ad Code

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

Manual5 Ad Code

বগুড়ার শেরপুরে ঘটকালির উপহার দেওয়ার কথা বলে এক বৃদ্ধ ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই ঘটক বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ঘটকের নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তাঁর বাড়ি একই উপজেলার ওমরপাড়া গ্রামে। গত ১৫ জুন (রোববার) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মজিবর শেখ সূত্রাপুরের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২১) ও শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন। ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

Manual1 Ad Code

কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই নবদম্পতির মধ্যে বনিবনার সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন কনের পরিবার। ঘটনার দিন মজিবর শেখকে ‘উপহার হিসেবে একটি লুঙ্গি দেওয়া হবে’ এই কথা বলে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে তাঁকে ডেকে আনা হয়। এরপরই তাঁকে মারধর করা হয়।

মজিবর শেখ অভিযোগ করে জানান, তাঁকে রাস্তায় থেকে ডেকে এনে প্রথমে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এরপর তাঁর হাত বেঁধে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে গরুর গোবর মাখানো স্যান্ডেল ও লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে—বিশেষ করে হাত, পা ও মাথায় নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। একটানা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্যাতনের পর ছোট ভাই নজরুল শেখ খবর পেয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

এরপর প্রথমে তাঁকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ১৭ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ ঘটনায় মজিবর শেখের ছোট ভাই নজরুল শেখ বাদী হয়ে জহুরুল ইসলামসহ চারজনের নামে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানত চাইলে অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমাদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ আচরণ শুরু করে। অথচ ঘটক মজিবর শেখ আমাদের বলেছিলেন ছেলের পরিবার ভালো। এই প্রতারণার কারণে রাগের বসে একটু শাসন করা হয়েছে।’

Manual1 Ad Code

বিষয়টি তদন্ত করছেন শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code