প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১লা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

ঘনীভূত হতে পারে রাজনৈতিক সংকট

editor
প্রকাশিত আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ণ
ঘনীভূত হতে পারে রাজনৈতিক সংকট

Manual8 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ও সৌহার্দ গড়ে উঠেছিল, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পর তাতে ফাটল ধরেছে। শুধু তা-ই নয়, ভোটের আগেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ বাড়তে থাকায় দলগুলোর মধ্যে দোষারোপের রাজনীতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নুরের ওপর পুলিশ ও সেনা সদস্যদের হামলার ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে তখন নতুন নতুন ইস্যুকে সামনে এনে কোনো কোনো মহল দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। এ অবস্থায় দলগুলোর অনৈক্য রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর এবং কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নির্বাচন পেছাতে পারবে না বলে শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বিরুদ্ধেও চলছে ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য জরুরি।

একই সঙ্গে ঘোষিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনেরও তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন রাজনৈতিক সমঝোতা এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হবে তাতে ফ্যাসিবাদী শক্তিই লাভবান হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দুটি প্রধান ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি ধারার নেতৃত্বে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তাদের সমমনা কয়েকটি দল। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। দলটি মনে করে, দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হওয়া অপরিহার্য।

অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি এবং কয়েকটি ইসলামপন্থি দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন, ‘জুলাই সনদ’কে আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে সংবিধান প্রণয়নের মতো মৌলিক সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এ সংস্কারের দাবিগুলো বাহ্যিকভাবে যতই যৌক্তিক মনে হোক না কেন, এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, নির্বাচন বিলম্বিত করার ‘ষড়যন্ত্র ও কৌশল’ হিসেবেই এসব ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়া না-দেওয়ার প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির বিরোধ চরমে। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি চাচ্ছে, এ সনদকে গণভোট বা গণপরিষদের মাধ্যমে সাংবিধানিক সুরক্ষা দিয়ে এটিকে রাষ্ট্রের একটি স্থায়ী দলিলে পরিণত করা হোক। অন্যদিকে বিএনপি এবং এর মিত্র দল ও জোট জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে। তারা বলছে, জুলাই সনদে বিভিন্ন দলের স্বাক্ষরই এর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য যথেষ্ট। এটিকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা একটি ‘অতি-সাংবিধানিক দলিল’ তৈরির শামিল হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গণপরিষদ নির্বাচনের প্রশ্নটাও অবান্তর বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে, তারা যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা যারা পিআর চাই, আমরা যারা সংস্কার চাই, যারা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই, সবাই মাঠে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, সেই ঐক্যে কোনো না কোনো পক্ষ ফাটলের চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের জন্য আলাপ-আলোচনা করছি। কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে যেন দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, তার মধ্য দিয়ে নাকি একটু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বাধা সৃষ্টি হবে বা নির্বাচন ভণ্ডুলের একটা পাঁয়তারা হবে।

আমরা সেভাবে কেন দেখব, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই রোডম্যাপ ঘোষণার জন্যই তো গত এক বছর আমরা আলাপ-আলোচনা ও সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে ঐক্যবদ্ধভাবে এ জায়গায় আসতে পেরেছি। নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ, দোদুল্যমানতা দেখানো ঠিক হবে না।

সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন না করে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান না। বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় থেকে কাক্সিক্ষত সংস্কার সম্ভব নয়। তাই তারা চান, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান করে নতুন বাংলাদেশ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে যদি কোনো নির্বাচন হয়, আগে অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা ও শহিদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষার জন্য একটি নতুন সংবিধান জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছাতে পারাটা বিপজ্জনক হবে। নির্বাচন না হলে কারোই কোনো লাভ হবে না, বরং সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ ভুলের দিকে যাবে না বলে ধারণা করি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপ দ্রুত নির্বাচন চায়, আরেক গ্রুপ চায় নির্বাচন পেছাতে। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও একটি গ্রুপ নির্বাচন পিছিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মব ভায়োলেন্স ইত্যাদি কারণে এক বছরে মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। তার মতে, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার তৎপরতা কোনো স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়। বরং মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনি পরিবেশকে জটিল করে তুলছে।

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকলে কিছু আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, এমনকি নির্দলীয় প্রার্থীদের মাধ্যমে কিছু জায়গায় জয়ীও হতে পারে। জামায়াত ও এনসিপি যদি নির্বাচনে না যায়, তা হলে মাঠে কেবল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা থাকবে, যারা এককভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নিলে সেটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। সেই সুযোগটি কাজে লাগাতেই হয়তো জাতীয় পার্টিকে সরানোর এ প্রচেষ্টা চলছে। যারা চায় দেশ অস্থিরতার দিকে না যাক, তাদের উচিত এখনই এ পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা। নির্বাচন বানচালের বা পেছানোর যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহত করতে হবে। এর জন্য দরকার সত্য উদঘাটন, ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সংযম।

Manual3 Ad Code

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. রাশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ঠিক সময়েই করতে চাচ্ছে। নির্বাচন দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায়ও নেই। এমন পরিস্থিতিতে পতিত ফ্যাসিবাদি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল বা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল হিসেবে নানা ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উচিত এই চক্রান্ত রুখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

Manual6 Ad Code

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগের। চলমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট বিভাজন আধিপত্যবাদ প্রত্যাবর্তনেরই একটি রাস্তা করে দিচ্ছে। এবার আধিপত্যবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে বাংলাদেশের জন্য কবর রচনার ঘটনা ঘটবে। এটা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার হবে। দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাই এখন প্রয়োজন একটি জাতীয় সমঝোতা, জাতীয় ঐক্য। সামরিক বাহিনী ও সিভিল ফোর্সের মধ্যেও দূরত্ব তৈরি হলে তা আধিপত্যবাদের পক্ষেই যাবে।

মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, মানুষের চোখে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা। এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও দেশ পরিচালনায় মানুষ যে সফলতার আশা করেছিল, তা সুদূর পরাহত হয়েছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র কোনো দিকেই আশা দেখছি না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ বাড়ার কারণে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজনীতা অনুভব করছি। সমঝোতা না হলে দেশে অরাজকতা দেখা দেবে এবং গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে থাকা শক্তি এর সুযোগ নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যত আগে সমস্যাটা বুঝবেন, তত আগেই দেশের মঙ্গল হবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, দলগুলোর মধ্যে একে অন্যকে কোণঠাসা করার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এতে দলীয় সিস্টেম যদি দুর্বল হয়ে যায়, তা হলে তৃতীয় শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার শঙ্কা থাকে। এখন এদিকে যাচ্ছে কি না স্পষ্ট না; তবে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রতিটি দলই কোনো না কোনোভাবে দুর্বল অবস্থায় আছে বা তাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। নতুন দলগুলোও ভালোভাবে অবস্থান করতে পারছে না। এটি দেশের জন্য অশনিসংকেত। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য দরকার। তিনি বলেন, আমরা খুব ভালোর দিকে যাচ্ছি না। প্রতিটি দলকে নিজেদের মধ্যে গোলমাল মিটিয়ে ফেলা উচিত। যেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়। সরকারেরও সেদিকে খেয়াল করা উচিত। প্রত্যেককে এখন সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

দেশের এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে আজ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন তিনি। শনিবার অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এ ঐক্যই আমাদের সংগ্রামের অর্জনকে রক্ষা করবে, জনগণের ম্যান্ডেটবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করবে। অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের কাছে এটি তাদের অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা ব্যাহত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্তভাবে প্রতিফলিত হবে এবং কোনো অশুভ শক্তি আমাদের গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code