প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ নবজাতক, চিকিৎসা ব্যয়ে দিশেহারা পরিবার

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ণ
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ নবজাতক, চিকিৎসা ব্যয়ে দিশেহারা পরিবার

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া পাঁচ নবজাতক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জন্মের দুই মাস পর তারা ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করে। গতকাল মঙ্গলবার তাদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার জানান, গত কয়েক দিন ধরে সন্তানগুলো একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সবকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মুদির দোকান চালিয়ে সংসার চললেও চিকিৎসার খরচ মেটাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।

Manual4 Ad Code

পটুয়াখালীর বাউফলের সিংহেরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা সোহেল ও লামিয়া আক্তার দম্পতির পরিবার আলোচনায় আসে গত ৬ অক্টোবর, যখন লামিয়া আক্তার বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম দেন। পাঁচ শিশুর নাম—হাসান, হোসাইন, মোয়াছিন, হাবিবা ও উমামা। জন্মের সময় তারা সুস্থ থাকলেও শীতের তীব্রতা বাড়ায় একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

Manual3 Ad Code

লামিয়া আক্তার বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচ শিশুর দেখভাল করা খুবই কষ্টকর। এক কৌটা দুধ দুই দিনের বেশি থাকে না, প্রতিদিন ১০টি করে ডায়াপার লাগে। গরম কাপড় পর্যাপ্ত নেই, তাই অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। আমাদের আয় অল্প; এখন কীভাবে শিশুদের চিকিৎসা করব বুঝতে পারছি না।’

Manual6 Ad Code

সোহেল হাওলাদারও জানান, পাঁচ সন্তানের বাড়তি ব্যয় বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘এখন যদি কেউ সহায়তা না করেন, চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হবে না,’ বলেন তিনি।

এদিকে পাঁচ নবজাতকের অসুস্থতার খবর পেয়ে বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ কে এম আখতারুজ্জামান তালুকদার ও সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পাঁচ শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।

Manual3 Ad Code

সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ জানান, পরিবারটি স্বল্প আয়ের হওয়ায় পাঁচ নবজাতকের দেখভাল করা তাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ দিয়েছি এবং ১৫ দিনের জন্য দুধ সরবরাহ করেছি। তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবান লোকজনেরও এগিয়ে আসা উচিত।’

সোহেল আরও জানান, পাঁচ সন্তানের জন্মের পর ‘ইভেন্ট ৮৪’ নামের মানবিক সংগঠন তাদের একটি গাভিসহ কিছু সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পাঁচ শিশুর ভরণপোষণ ও চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code