প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটের হারিয়ে যাওয়া আবুল হাসান মিস করেন টেস্ট ক্রিকেটকে

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
সিলেটের হারিয়ে যাওয়া আবুল হাসান মিস করেন টেস্ট ক্রিকেটকে

Manual2 Ad Code

 

ক্রীড়া ডেস্ক:

Manual6 Ad Code

আবুল হাসান রাজুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ২০১২ সালে। একই বছর টেস্ট অভিষেক হয়ে এই পেসারের। আর লাল বলের ক্রিকেটে পা রেখেই পুরো দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেন। মূলত তিনি একজন পেসার হলেও ব্যাট হাতে অভিষেকেই গড়েন বিশ্বরেকর্ড।

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ১০ নম্বর ব্যাটার হিসেবে উইকেটে গিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান আবুল। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০ নম্বরে নেমে অভিষেকেই তিন অঙ্কের দেখা পান তিনি। ১১৩ রানের সেই ইতিহাসগড়া ইনিংস খেলে আলোচনায় চলে আসেন তিনি।

ঝড়ের মতো উত্থান হওয়া আবুলের পতনও হয়েছে একই বেগে। ব্যাট হাতে আলোচনায় আসলেও আবুলের আসল কাজটা ছিল বল হাতে। যেখানে তিন সংস্করণেই ব্যর্থ ছিলেন তিনি। যা তার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। বাংলাদেশের জার্সিতে ৩ টেস্টে তার শিকার ৩ উইকেট। ৫ টি-টোয়েন্টি খেলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর ওয়ানডেতে তার পারফরম্যান্স গ্রাফের চিত্রটা আরো করুণ! লাল-সবুজ জার্সিতে ৭ ওয়ানডে খেলে কোনো উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার।

Manual6 Ad Code

 

Manual3 Ad Code

বাজে পারফরম্যান্স আর চোট মিলিয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন আবুল। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুনে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখা যায়নি তাকে। স্বীকৃত ক্রিকেটে সর্বশেষ ২০২২ সালে খেলেছেন বাংলাদেশ লিজেন্ডসের হয়ে। যা সাবেক ক্রিকেটারদের একটি টুর্নামেন্ট।

 

২০২২ সালের পর দেশের মাটিতে আর কোনো ধরনের ক্রিকেটেই দেখা যায়নি আবুলকে।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি। এখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। আমি সর্বশেষ টুর্নামেন্ট খেললাম মিশিগান থেকে। গত বছরের শেষ দিকে আমি ভিসার কারণে যেতে পারিনি। তো সবকিছু আবারও ঠিক হয়ে গেছে আমার। আমি জানুয়ারির শেষ দিকে আবার আমেরিকাতে চলে যাব। টার্গেট আসলে মেজর লিগ খেলা।

তিনি আরো বলেন, আমি যদি টার্গেট করি যে, আবারো জাতীয় দলের জন্য আমি চেষ্টা করবো তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি আত্মবিশ্বাসী (ফিরতে পারবো)। যদি এক থেকে দেড় বছর চেষ্টা করি এবং ঢাকায় থাকি তাহলে আমি ইনশাআল্লাহ ফিরতে পারবো, এটা আমি বিশ্বাস করি।

মূলত ইনজুরি আমাকে ছিটকে ফেলেছে। আমার কিছু ইনজুরির সমস্যা ছিল যে কারণে আমি আসলে আমেরিকাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট যে, আমার জন্য কিছু করেনি তা না, অনেক প্লান ছিল তাদের।

শেষ যখন ২০১৮ তে আমি খেলেছিলাম তখনও আমার এঙ্কেল এর ইনজুরি ছিল। তো আমি কিন্তু আশাবাদী ছিলাম যে আমি ফিরব। আমি ভেবেছিলাম, টিমের ভেতরে আছি খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছি তো আমাকে সাপোর্ট করবে বোর্ড। কিন্তু তখন আমার জন্য বোর্ড কিছুই করেনি। পরে আমি নিজের টাকা খরচ করে অস্ট্রেলিয়া যেয়ে সার্জারি করেছি। পরে যখন বাংলাদেশে এসেছি তখন আমি আর ঐরকম রেসপন্সটা পাইনি। তাই আমি আমেরিকায় চলে গেছি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code