প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে নারীর গুরুতর অভিযোগ

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ণ
ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে নারীর গুরুতর অভিযোগ

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন এক নারী। তিনি দাবি করেন, একটি মামলায় তার কাছ থেকে দুই কোটি টাকা দাবি করেন হারুন। টাকা দিতে না পারায় মামলার চার্জশিটে নাম দেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের।

Manual6 Ad Code

আজ সোমবার জান্নাতুল ফেরদৌস নামের ওই নারী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব অভিযোগ করেন।

Manual3 Ad Code

নিজের পরিচয় জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার স্বামী মৃত হাসান আহমেদ, তিনি ছিলেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। পৈতৃক সূত্রে একজন জুট মিলস ব্যবসায়ী ছিলেন।

Manual7 Ad Code

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ২০২০ সালে ব্রেইন স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তার স্বামী। সেই সময়ে তার দেবর কবির আহমেদ ও মুসা এবং তাদের কর্মচারী বিদ্যুৎ ঘোষ বিভিন্ন অজুহাতে কম্পানির বিভিন্ন ডকুমেন্টস সরাতে শুরু করেন। কম্পানির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয় তার স্বামীকে। এ অবস্থা বুঝতে পেরে তার স্বামী তার প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি রক্ষায় ভিডিও বার্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজধানীর মতিঝিল থানায় জিডিও করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর অভিযুক্তরা পরিবারের আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করেন। এ মামলা পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত তা ফের তদন্তে দেয় ডিবিকে।

জান্নাতুল ফেরদৌস দাবি করেন, ডিবিপ্রধান হারুন তাকে ডেকে নিয়ে দুই কোটি টাকা চান।

অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানান। টাকা দিতে না পারায় এবং প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় চার্জশিট দেয় ডিবি। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা। মামলাটি এখন চার্জ শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসচার্জ আবেদন করছি। এর ওপর শুনানি হবে। আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।’

তার স্বামীর বেতনভুক্ত কর্মচারী বেইলি রোডে কয়েক কোটি টাকার ফ্ল্যাটসহ বিপুল অর্থের মালিক। এসবই তার স্বামীর অসুস্থতার সুযোগে আত্মসাৎ করা অর্থ বলে দাবি ওই নারীর। এ ছাড়া দেবররা তার স্বামীর মৃত্যুর পরে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।

তিনি বলেন, ‘আত্মসাৎ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দেবর ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০২৪ সালের ৩ জুলাই মামলা করি। মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের পর আমাদের (বাদী) জিম্মায় জামিন দেওয়া হয়। জামিনের শর্ত ছিল যে, আইন অনুযায়ী তার স্বামীর সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা তারা প্রতিপালন না করে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বেশ কটি এসএমএসও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান এ ভুক্তভোগী।

সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবার ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আর্তনাদ জানান ভুক্তভোগী ওই নারী, তার শিশু সন্তান, ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাসহ পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তিরা।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code