প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বঙ্গবীর ওসমানীকে নিয়ে অবহেলা, নানা প্রশ্ন

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ণ
বঙ্গবীর ওসমানীকে নিয়ে অবহেলা, নানা প্রশ্ন

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
‘বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি (এমএজি) ওসমানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পরপর তিনটি যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন মহান বীর। অথচ ওসমানীকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। তার বঙ্গবীর উপাধি এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক উপাধি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চলছে। তার ডায়েরি, পাণ্ডলিপি, মুক্তিযুদ্ধকালীন সব নথিপত্র এমনকি তার ব্যক্তিগত স্যুটকেসটিও গায়েব। এর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসকে বিতর্কিত, অস্পষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। প্রচণ্ড ক্ষোভ আর অভিমানে এ কথাগুলো বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এমএজি ওসমানীর অন্যতম সহচর কাজী গোলাম মোস্তফা।

Manual4 Ad Code

ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার দোয়া, মিলাদ, আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন। সকালে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারসংলগ্ন কবরস্থানে ওসমানীর সমাধিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করেন।

এদিকে, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুরআন খতম, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ, ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদ, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।

Manual2 Ad Code

বিশিষ্ট আইনবিদ ও গবেষক এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ওসমানীর সাথে আমরা বহুদিন নূর মঞ্জিলে বসেছি। আলাপে মনে হয়েছে তিনি সর্বদাই সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যাপারে ছিলেন আপসহীন। বাকশাল গঠনে চরম বিরোধিতা করেছিলেন। ওসমানীকে অবহেলার মধ্যদিয়ে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসকে অবজ্ঞা করে চলছি। এসবের ফায়সালার সুযোগও কমে আসছে।

Manual3 Ad Code

তার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? আত্মসমর্পণের প্রাক্কালে ওসমানীর হেলিকপ্টারে কেন গুলি করা হয়েছিল? যদিও সেদিন হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করায় ওসমানী প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কারা তাকে উপস্থিত থাকতে দেয়নি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ অবধি এর কোনো তদন্ত হয়নি। কখনো মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, কখনো প্রধান সেনাপতি কার স্বার্থে? ওসমানীর কাছে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নথিপত্র, দলিল, তার ডায়েরি, পাণ্ডুলিপি, স্যুটকেস কোথায় গেল, কারা নিল? খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি। তার বাড়িটি এখন ওসমানী জাদুঘর। জাতীয় জাদুঘরের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বয়স ৪০ বছর হলেও জাদুঘরটির ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে অবহেলার নানা চিহ্ন।

Manual6 Ad Code

পর্যটক, পরিদর্শকদের জন্য নেই ‘একনজরে ওসমানী’ এ ধরনের কোনো বুকলেট। জাদুঘরের সহকারী কিপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জাদুঘরের অবকাঠামোতে জনবল ৯ জন উল্লেখ থাকলেও আছে মাত্র ৪ জন। এক মাসের মধ্যে আরও একজন অবসরে চলে যাচ্ছেন। ওসমানীর ভাতিজা ও ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি টিটু ওসমানী জানান, ওসমানীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের দয়ামীরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী পাঠাগার স্থাপন করেছিল ওয়ান ইলেভেন সরকার। অথচ দীর্ঘ দিনেও সেটি চালু হয়নি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code