প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে আন্দোলনে নিহত ১৮ জনের পরিবার পেল ৫ লাখ টাকা করে

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে আন্দোলনে নিহত ১৮ জনের পরিবার পেল ৫ লাখ টাকা করে

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

Manual2 Ad Code

প্রতি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Manual5 Ad Code

এসময় ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ জানান- সারাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬ শ জনের বেশি শহিদ পরিবারের তালিকা তাদের কাছে এসেছে। প্রাথমিক অবস্থায় যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেয়া হচ্ছে। তারা প্রতি বিভাগে গিয়ে শহিদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছেন। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে সেসব পরিবারকেও অনুদান প্রদান করা হবে।

Manual4 Ad Code

চেক বিতরণ কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেননি, এই অভ্যুত্থানও হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল। এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন এক টনক নড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না। আর শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এর সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরও সংস্কার করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচারব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন। হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর-ফ্যাসিস্ট বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে তারা সেখানে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। একই সাথে যারা এই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।’

Manual7 Ad Code

সারজিস বলেন, রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া হবে- এমনটি নয়। আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। সর্বোপরি বিগত ১৬ বছরসহ দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। তাই সংবিধানেরও সংস্কার প্রয়োজন।’

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code