প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দখল হচ্ছে শেওলা স্থল বন্দরের জায়গা

editor
প্রকাশিত মার্চ ৩, ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ণ
দখল হচ্ছে শেওলা স্থল বন্দরের জায়গা

Manual4 Ad Code

বন্দরের মালিকানাধীন এই খালি জায়গাটুকুও দখল করে কয়লা ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়েছে অবৈধ দখলদাররা/

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

Manual4 Ad Code

সড়কপথে বাংলাদেশের সাথে ভারতের পণ্য আমদানি- রপ্তানির বাণিজ্যদ্বার বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে অচিরেই চালু হচ্ছে। এ স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে স্থাপনা গড়ে ওঠার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে হাজার হাজার মানুষের।

 

তবে, শেওলা স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগেই একটি চক্র সরকারের অধিগ্রহণকৃত এবং সরকারি বিপুল পরিমান জমি অবৈধভাবে দখলে নিচ্ছে। তারা কৌশলে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা। বন্দরের প্রবেশগেটের সামনেও অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিস্তৃত বন্দর এলাকার আশপাশে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক মার্কেট স্থাপন করা হয়েছে। দৈনিক ভিত্তিতে এসব দোকান থেকে ভাড়া আদায় করা হয়। কেউ আবার বন্দরের খালি জায়গা দখল করে তা কয়লা-পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। এসব সরকারি জমির ভাড়া বাবদ অগ্রীম পুরো মৌসুমের টাকা আদায় করে নিচ্ছেন।

 

শেওলা স্থলবন্দর, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। এটি বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের কোনাগ্রাম সীমান্তে অবস্থিত। এর অপরপার্শ্বে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি আইসিপি রয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালের ৭ জুন বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। শেওলা স্থলবন্দর কাস্টম্স স্টেশনে কুশিয়ারা নদীপথের মাধ্যমে ১৯৪৮ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানী শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে উক্ত শেওলা স্থল কাস্টম্স সুতারকান্দিতে (বড়গ্রাম) স্থানান্তরিত করা হয়।

 

Manual2 Ad Code

প্রতিবেশী দেশের সাথে আমদানি-রপ্তানির কাজ ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ সরকার শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে। এই স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার চালু রয়েছে। ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ দশমিক ১০ একর ভূমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে বন্দরের প্রায় ২ একর জমি অবৈধ দখরদাররা নিজেদের করায়ত্বে নিয়ে গেছে।

Manual4 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

 

বন্দরে কর্মরত শ্রমিক শাহীন জানান, রাতে ঘুমানোর সময় যে জায়গা খালি দেখা যায়, সকালে ওঠার পর সেখানে স্থাপনা তৈরী হয়ে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় জমিও আর অবশিষ্ট থাকবেনা। অপর শ্রমিক রমিজ বলেন, প্রথমে বাশ-টিন দিয়ে চালা ও বেঁড়া দেন দখলদাররা। পরে আস্তে আস্তে তা স্থায়ী রুপ পায়।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরে কর্মরত দায়িত্বশীলরা জমি দখল ঠেকাতে আগ্রহী নয়। তারা এসব বিষয় নিয়ে উর্দ্বতন কর্তপক্ষকে কিছুই অবগত করেনা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেওলা স্থল বন্দরের সহকারি কাষ্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী মো: মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা অবহেলা করছি- বিষয়টি ঠিক নয়। ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গা দেয়াল ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করেছি। সব জায়গাতো একেবারে সংরক্ষণ করা যায় না।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code