প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ঈদ বাজার: বিয়ানীবাজারে মেয়েদের পছন্দ পাকিস্তানি থ্রি পিস

editor
প্রকাশিত মার্চ ২১, ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ণ
ঈদ বাজার: বিয়ানীবাজারে মেয়েদের পছন্দ পাকিস্তানি থ্রি পিস

Manual6 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual5 Ad Code

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শুক্রবার) ঈদ কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড় ছিল বিয়ানীবাজার বিপনীবিতান আর শপিং মলগুলোতে। ক্রেতারা প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুয়েলারি, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বাহারি আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে দোকানগুলো। স্থানীয় বিপনী বিতানগুলোতে মেয়েদের পছন্দদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি থ্রি পিস, আর ছেলেদের পছন্দ কাশ্মীরি পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট।

দেখা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে ঈদের কেনাকাটায় আগ্রহী সব বয়সী নারী-পুরুষের ঢল। ইফতারের পর এই ঢল আরো বেড়েছে। বিপনী বিতানগুলোতে নারীরা একাধিক পোশাক কিনছেন। ঈদে গরমের জন্য আরামদায়ক পোশাক কিনতে দেখা গেছে অনেককেই। পছন্দের পোশাক খুঁজতে দোকান ঘুরে ঘুরে ক্রেতারা সেরে নিচ্ছেন শেষ সময়ের কেনাকাটা। তবে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আছে ক্রেতাদের।

Manual4 Ad Code

 

ক্রেতারা বলছেন, আর বেশিদিন বাকি নেই ঈদের। পছন্দসই কেনাকাটার এখনই সময়। মানসম্মত নয় এমন পোশাকেও বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নাদিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, গরমের কারণে এবার একটু হালকা কাপড়ের পোশাক খুঁজছি। কারণ ঈদে ঘুরাঘুরিতে আরামদায়ক পোশাক প্রয়োজন। রাফসান নামের এক ক্রেতা এসেছেন পাঞ্জাবি কিনতে। তিনি কয়েক দোকান ঘুরে কাশ্মীরি পাঞ্জাবি কিনেছেন।

বাবার মায়ের সঙ্গে ছোট্ট আহনান এসেছে ঈদের কেনাকাটা করতে। আহনান জানায়, সে এবার পাঞ্জাবি, প্যান্ট এবং শার্ট কিনেছে। এছাড়া খেলনা কেনার জন্য বাবা-মাকে বলেছে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে প্রায় সবার মুখে শোনা গেছে একই আক্ষেপ—‘এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।’ কৌতূহলের বিষয় হলো, শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা। পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত।

Manual4 Ad Code

এবার ভারতের বদলে পাকিস্তান, চীন ও থাইল্যান্ডের কিছু পোশাক ঈদের বাজারে এসেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে ভারতীয় পণ্যের তুলনায় সেগুলোর দাম বেশি। একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন বলেন, ‘ইন্ডিয়ার যে ড্রেসটা আমরা ৫ হাজার টাকায় বেচতে পারি, পাকিস্তানের সেই ড্রেস ১৫ হাজারে বেচতে হয়। পাকিস্তানের ড্রেসের কোয়ালিটি ভালো হয়। সে কারণে দামও অনেক বেশি।

বিয়ানীবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম শামীম জানান, এবারের ঈদকে ঘিরে শবেবরাতের পর থেকে বিকিকিনি শুরু হয়েছে। তবে ইদানীং একটু কম। ২৫ রমজানের পর কেনাকাটার প্রবণতা আরো বাড়বে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code