স্টাফ রিপোর্টার:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর পোস্টার, ফেষ্টুন বিলবোর্ড সরানোর আলটিমেটামের অর্ধেক সময়ের বেশী পেরিয়ে গেছে। ৪৮ ঘন্টা পেরোতে আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাকি। তবে এই সময়ের মধ্যেও বিয়ানীবাজার উপজেলার যততত্র লাগানো পোস্টার ফেষ্টুন বিলবোর্ড সরানো হয়নি। পৌরশহর থেকে অল্প কিছু সংখ্যক পোস্টার ফেষ্টুন বিলবোর্ড সরানো হলেও উপজেলার অন্যান্য হাটবাজারে লাগানো এসব প্রচারণা মাধ্যম আগের মতই আছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে এসব অপসারণের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
এদিকে বিয়ানীবাজারে কেউ কেউ প্রচারণা শুরু করেছেন প্রায় বছরখানেক আগে থেকে। কেবল সভা সমাবেশের মাধ্যমেই নয়, পৌরশহরসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা রীতিমতো সয়লাব ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার বিলবোর্ড ও দেয়াল লিখনে।
‘অমুক ভাইকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই’- এ জাতীয় পোস্টার ব্যানারেরও অভাব নেই রাজনীতি সচেতন এই নির্বাচনী এলাকায়।
তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানতে কোনো কোনো প্রার্থী নিজেই নেমেছেন রাস্তায়, আবার কেউ কেউ দলীয় নেতাকর্মী বা নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে কাজটি ধীরে সারছেন। আর কেউ কেউ এখনো শুরু না করলেও প্রস্তুতি চূড়ান্ত, নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা এসব সরিয়ে ফেলবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে শুক্রবার সিলেট-৬ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী ও জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী স্থাপন করলেন ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পালনে নিজেই নেমেছেন মাঠে। অপসারণ করছেন নিজের ছবি-নামসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন।
এসময় তিনি বললেন, নির্বাচন কমিশনের সব নির্দেশের প্রতি বিএনপির প্রার্থীরা শ্রদ্ধাশীল। ১৭ বছর পর দেশে নির্বাচনের পরিবেশ এসেছে। সেই পরিবেশকে পুরোপুরি সুষ্ঠু করে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই আমার দলের সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান, সবাই নির্বাচন কমিশনের আদেশ-নিষেধ মেনে চলবেন।
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তাঁর এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে।
Sharing is caring!