প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আজও ট্রাইব্যুনালে র‍্যাব-বিজিবিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
আজও ট্রাইব্যুনালে র‍্যাব-বিজিবিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর রামপুরায় জুলাই-আগস্টে ২৮ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে হাইকোর্টের প্রবেশপথসহ ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব-বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট এলাকার আশপাশে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

Manual1 Ad Code

র‍্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আজ দুই সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে, এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই শুনানি হবে। এই মামলায় পলাতক দুই আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। গত ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত ২৬ অক্টোবর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে চার আসামির মধ্যে বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম কারাগারে রয়েছেন। গত ২২ অক্টোবর তাদের দুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

Manual2 Ad Code

একইসঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়, যা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। পলাতক দুই আসামি হলেন: ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলেছিল। এর মধ্যে রামপুরায় ২৮ জন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা গিয়েছিল।

এছাড়া অন্যান্য আসামিরাও এ হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালে চারজনের বিরুদ্ধে আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code