প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চালের বাজারে অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রোধে কঠোর হতে হবে

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
চালের বাজারে অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রোধে কঠোর হতে হবে

Manual7 Ad Code

সম্পাদকীয়:
এখন আমনের ভরা মৌসুম। আমদানিও হচ্ছে চাল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, তারপরও মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা; মোটা চাল বেড়েছে ৫-৭ টাকা।

Manual2 Ad Code

ভরা মৌসুমেও চাল কিনতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও কেন চালের বাজার অস্থির, এ প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না। আমাদের স্মরণে রয়েছে, এক বছর আগে আমনের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি সরকারি গুদামে চালের মজুত ছিল পর্যাপ্ত; বাজারে পণ্যটির সরবরাহও ছিল পর্যাপ্ত। তারপরও ভরা মৌসুমে তখন চালের বাজার ছিল অস্থির। তখন বলা হতো, কারসাজি করে চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন এটিও বলা হতো, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরাই কারসাজি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন হলো, এখন কারা কারসাজি করছে? চালের বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টির নেপথ্যে সিন্ডিকেট সক্রিয়, এটি বহুল আলোচিত। অতীতেও আমরা লক্ষ করেছি, পণ্যের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এর মূল কারণও সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। কাজেই যারা চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজারেও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

Manual4 Ad Code

আমাদের এটাও স্মরণে রয়েছে, এক বছরের বেশি আগে বেসরকারি আমদানিকারকদের ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সময়ে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ চাল আমদানি করা হয়েছিল। এসব তথ্য বিবেচনায় নিলেই স্পষ্ট হয়, বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা কৌশলে চালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফাঁদ পেতে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ যাদের স্বভাব, তাদের ওপর ভরসা করা যায় না। অতীতে লক্ষ করা গেছে, যখন অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শুরু হয়, তখন সংশ্লিষ্ট পণ্যটির সরবরাহে সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এ থেকেই স্পষ্ট সিন্ডিকেটের শেকড় কত গভীরে গিয়ে পৌঁছেছে। কাজেই সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রোধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকলে গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে খাওয়া কমিয়ে দেয়। যেভাবেই হোক, নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে হবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code