প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ণ
রাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু

Manual7 Ad Code

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরপরই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনই প্রচারণায় বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। এর আগে বিকাল ৩টায় সিনেট ভবনে লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রদান শুরু করা হয়।

এদিকে শনিবার রাতে এক জরুরি সভায় রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যালট নম্বর বরাদ্দের নীতিমালা সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নিয়মে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি প্রার্থীদের প্রত্যেকের ব্যালট নম্বর প্রত্যেক পদের বিপরীতে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা যায়, শনিবার রাতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলসহ বেশ কয়েকটি প্যানেলের ভিপি প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যান। তারা প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর বরাদ্দের আগের নিয়ম নিয়ে আপত্তি করেন। পরে নির্বাচন কমিশন জরুরি সভায় বসে। সভা শেষে রাতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু নির্বাচনের ব্যালট নম্বর বরাদ্দের নতুন নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

Manual2 Ad Code

অন্যদিকে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ছাড়াও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসুতে ২৪৮ জন এবং সিনেটে ৫৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া হল সংসদে ৬০০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

Manual1 Ad Code

‘ইউনাইটেড ফর রাকসু’
রাকসু নির্বাচনে শীর্ষপদ সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছাড়াই ‘ইউনাইটেড ফর রাকসু’ নামক আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় রাবি পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করে জোটের প্রার্থীরা তাদের ‘ভিশন ও অঙ্গীকার’ প্রকাশ করেন। প্যানেলের ২০২০-২১ সেশনের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজওয়ান করিম, সহ-নারী সম্পাদক হাসনা হেনা বর্ষা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইফতেখার আলম ধ্রুব, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. নাবিল বিন জাকির। মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার মোর্শেদ খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ দাস, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাসেল রানা, সহ-পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আশিকুর রহমান এবং ২০২২-২৩ সেশনের একমাত্র সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী তালহা হোসাইন। সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার মোর্শেদ খান বলেন, ‘আমাদের প্যানেল গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা আলাদা। এই প্যানেলে ভিপি, জিএস, এজিএস পদে কাউকে রাখিনি। কারণ আমরা প্যানেলে এরকম কাউকেই দেখিনি। শিক্ষার্থী সমাজ আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারব।’

ওমআরেই ভোটগণনা: সিইসি
রাকসু, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদের ভোটগণনা হবে ওএমআরেই। রাকসু নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য’ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন। এর আগে শনিবার ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলসহ দুটি প্যানেলের প্রার্থীরা। এবিষয়ে ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেন, ‘ওএমআর ইভিএমের মতই। এর মাধ্যমে গণনা হলে ভোট কারচুপির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই, দীর্ঘদিন পর যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, তাই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আমরা স্বচ্ছ ভোট বাক্স স্থাপন, ম্যানুয়ালি ভোট গণনাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এই ১২ দফা দাবি জানিয়েছি। ডাকসু ও জাকসুতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আমরা চাই না রাকসুতে এই বিতর্ক হোক।

Manual5 Ad Code

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানুয়ালি ভোট গণনায় কীরকম সমস্যা হয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। ছাত্রদলসহ দুইটি সংগঠন ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবি জানালেও তা সম্ভব নয়। কারণ, রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। হাতে গণনা করলে নির্বাচনের ফলাফল পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তাই ওএমআর শিটে ভোটগ্রহণ এবং ফলাফল গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনেই।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code