প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি : গ্রেফতার ৩ ভাই

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ণ
শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি : গ্রেফতার ৩ ভাই

Manual7 Ad Code

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জে নাহিদুল ইসলাম শিপন (৮) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে তিন সহোদরকে আটক করে থানায় দিয়েছে সেনাবাহিনী।

Manual2 Ad Code

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে ওই শিশুর বাবা হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।

এরা হলেন- জেলার বানিয়াচং উপজেলার উত্তরসাঙর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে লাদেন মিয়া (২৪), শাহ আলম (২২) ও শাহনুর মিয়া (২০)। শিশু শিপন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক লিটন মিয়ার ছেলে।

Manual8 Ad Code

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১০ মার্চ দুপুরে অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া তার স্ত্রী ও সন্তান শিপনকে হবিগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে রেখে শায়েস্তানগর বাজারে কেনাকাটা করতে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে দেখেন শিশু সন্তান সেখানে নেই এবং স্ত্রী কান্নাকাটি করছেন।

এ ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর অভিযুক্ত তিনজনের বড় ভাই সজল মিয়া মোবাইলফোনে লিটনের কাছে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তার দেওয়া ঠিকানা উত্তরসাঙর পোতার বিল রাস্তায় যান লিটন। কিন্তু দেড় লাখ টাকা না দিলে শিশুকে দেওয়া হবে না জানিয়ে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে সেনাবাহিনীর হবিগঞ্জ সদর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিলে গত শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সেনা সদস্যরা আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু শিপনকে উদ্ধার করে এবং ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে আসে।

Manual3 Ad Code

এরপর রোববার বিকেলে শিশুর বাবা মামলা দায়ের করলে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাবা ফিরোজ মিয়া এবং ভাই সজল মিয়াও অপহরণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code