প্রজন্ম ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই সে দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদেরও ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত একটি বার্তা ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। আর বাংলাদেশও অবৈধ হয়ে পড়া নিজ নাগরিকদের ফেরত নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা নিয়ে বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করছে। বাংলাদেশকেও একইভাবে জানিয়েছে। আর বাংলাদেশও নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেব বলে জানিয়েছে।
এই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলোর বলছে, বাংলাদেশিদের যাতে ভারতীয়দের মতো হাতে-পায়ে শিকল পড়িয়ে অসম্মানজনক উপায়ে ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও চায় না বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের সংখ্যা কত, আর কবে থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বা এ প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, সেটা যুক্তরাষ্ট্র এখনও জানায়নি।
তবে ফিরিয়ে আনার আগে বাংলাদেশ নিজ নাগরিকদের নাগরিকত্বের সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েই দেশে ফেরত আনবে। এক্ষেত্রে যাদের ফেরত পাঠাবে, তাদের পূর্ণ তালিকা ও কনসুল্যার এক্সেস চাইবে বাংলাদেশ। এসব ক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ চায় না, কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে অন্য দেশে বসবাস করুক।
যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ অবৈধ অভিবাসী চিহ্নিত করে থাকে। অফিস অব হোমল্যান্ড সিকিওরিটি, ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট।
তিনটি বিভাগেরই ওয়েবসাইটে কোনো দেশের কতজন অবৈধ অভিবাসীকে সীমান্তে আটক করা হয়েছে, নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বা বৈধ নথি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী কতজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
Sharing is caring!