প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

লাটে উঠেছে নাগরিক সেবা

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৯, ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ
লাটে উঠেছে নাগরিক সেবা

Manual1 Ad Code

প্রজন্ম ডেস্ক:

অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রদের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় নাগরিক সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকেন্দ্রিক সেবা কার্যক্রম লাটে উঠার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Manual3 Ad Code

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় ঠিকঠাক নাগরিক সেবা মিলছে না। আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে সমস্যা সমাধানেরও সুযোগ নেই। তাই আমলানির্ভর না হয়ে স্থানীয় পর্যায়ে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সারা দেশে নেটওয়ার্ক তৈরি করে নাগরিক সেবা বাড়ানো যেতে পারে।

 

জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বর্তমান সরকার। আর ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘ওয়ার্ড সচিব’ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা সপ্তাহে দুই দিন ছুটিতে থাকেন। বাকি পাঁচ দিন দুপুরের পর তাদের আর কার্যালয়ে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া নিজ দপ্তরের কাজে তারা মাঝে মধ্যে জেলার বাইরে থাকেন। এতে আগের মতো সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

জন্মসনদ, নাগরিক ও মৃত্যুর নিবন্ধনসহ চারিত্রিক, উত্তরাধিকার সনদ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার সত্যায়িত সনদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র, অনাপত্তিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় যাচাইকারী হিসেবে স্বাক্ষর দিতে হয় জনপ্রতিনিধিদের। এ ছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে বিচার-সালিশের ক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিরা ভূমিকা রাখতেন। দেশের রাজনৈতিক পেক্ষাপট পরিবর্তনের পর জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে লাটে উঠেছে নাগরিকসেবা।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেই এখন সড়কবাতি নেই। ফলে চুরি-ছিনতাই দৈনিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। গত সোমবার আসাদ গেট থেকে রাতে মিরপুরে বাসায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী ব্যবসায়ী রাকিবের মোবাইল-মানিব্যাগসহ সব নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে। তাদের ধরার কোনো উপায় নেই? এখন শহরের রাস্তায় কোথাও কোনো লাইট জ্বলে না। এই সুযোগে চুরি-ডাকাতি তো হবেই। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি ২৭ নং ওয়ার্ড সচিবের কার্যালয়ে কয়েক দিন ধরে ধরনা দিচ্ছেন জাকের আলী। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি চাকরির জন্য চারিত্রিক সনদ নিতে আগে কাউন্সিলরের কাছে এলে পাওয়া যেত। এখন এত নিয়ম-কানুন দেখাচ্ছে, এক দিনের কাজ দশ দিন লেগে গেল।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। লোকাল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কিন্তু স্থানীয় মানুষের সংযোগ থাকে। এই সংযোগটা গ্যাপ হয়ে যাওয়াতে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (প্রশাসন) ও ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ (আইনশৃঙ্খলা) এর ঘাটতি হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, সংসদ নির্বাচনের পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, তাহলে এত দীর্ঘ সময় তো স্থানীয় সরকার অকার্যকর থাকতে পারে না। তাই সরকার যদি স্থানীয় সরকারব্যবস্থা নিয়মে নিয়ে আসতে চায় তাহলে আমলানির্ভর লোকদের যুক্ত না করে বরং উল্টাটা করা উচিত। আমাদের বিভিন্ন এলাকায় যারা যোগ্য এবং সমস্যা ডিল করতে পারবেন- তাদের নিয়োগ করা উচিত। তাহলে ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ ফিরে আসবে। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত। যা এখন ঝুলে আছে।’

অতীতের প্রেক্ষাপট টেনে এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, আমাদের উন্নয়ন কাজ সমন্বয়হীন। যখন রাজনৈতিক সরকার ছিল তখনও বলেছি- উন্নয়ন সমন্বয়হীন হয়ই লাভের গুড় ভাগাভাগি করে খাওয়ার জন্য। সমন্বয় হলে রাস্তা একবার কাটলেই হয়, আর ১০টা সংস্থা ১০ বার কাটলে দশবার ভাগাভাগি হবে। এসবের জন্য বার্ষিক পরিকল্পনার পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নাগরিকসেবা মিলছে ঢিমেতালে। জন্ম-মৃত্যু, ওয়ারিশ আর চারিত্রিক সনদ পেতে সময় লাগছে অনেক বেশি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ। রাস্তা, অলিগলি ও ফ্লাইওভারে পড়ে থাকছে আবর্জনা; দায়িত্ব নিয়ে যা অপসারণের কেউ নেই। ফলে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা।

ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৪টি আর দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। জনসেবায় দুই মেয়রের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিল। এর সঙ্গে উত্তরে ১৮ জন আর দক্ষিণে ২৫ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ছিলেন। নাগরিকসেবার বিষয়গুলো তারাই দেখতেন। সিটি করপোরেশনের ৭ থেকে ৮টি ওয়ার্ড মিলে একটি আঞ্চলিক নির্বাহী অফিস গঠন করা হয়েছে। উত্তরে ৫৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১০ জন, দক্ষিণে ওয়ার্ড ৭৫টি হলেও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ১০ জন দিয়ে চলছে সিটি করপোরেশনের কাজ। অর্থাৎ ৭-৮টি ওয়ার্ডের জনসেবার বিষয়গুলো দেখছেন সিটি করপোরেশনের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা)।

জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণের ভোগান্তির বিষয় নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে গতকাল কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সচিবকে মেসেজ দেওয়া হলেও রিপ্লাই আসেনি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকলেও ৫ আগস্টের পর থেকে সব কাউন্সিলর আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে খ্যাত নগরের ওয়ার্ড অফিসগুলোতে সীমাহীন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। নগরের হালিশহরের নূর জাহান বেগমের স্বামী গেল জানুয়ারিতে মৃত্যুবরণ করেন। ব্যাংকের টাকা উত্তোলন ও জমিজমা সংক্রান্ত প্রয়োজনে স্বামীর ওয়ারিশান সনদ পাওয়াটা তার জন্য জরুরি। কিন্তু ২ মাস ধরে তিনি ওয়ার্ড অফিসে ঘুরেও সেটি পাচ্ছেন না। একইভাবে পুরো শহরের ৪১টি ওয়ার্ডের একই চিত্র। কোথাও স্মার্ট টিসিবি কার্ড, কোথাও জন্মনিবন্ধন, কোথাও ওয়ারিশান সনদ পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।

ওয়ার্ডগুলোতে কোনো প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া না হলেও চসিকের কর্মকর্তাদের এসব দায়িত্ব পালনে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তারা দাপ্তরিক দায়িত্বের বাইরে ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে জনগণের সেবা পাওয়া আরও দুরূহ হয়ে উঠেছে।

Manual7 Ad Code

সিলেটে: সিলেট বিভাগে স্থানীয় সরকার বিভাগে জনপ্রতিনিধিরা না থাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ থেমে আছে। কিছু কিছু এলাকায় উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও কাউন্সিলর না থাকার কারণে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন ঠিকাদাররা। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

বেশির ভাগ মানুষ এখনো জানেন না কাউন্সিলরের পরিবর্তে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তারা কোথায় বসেন। বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রিট লাইট নেই। অনেক রাস্তা ভাঙা। মশক নিধনে নেই জোরালো ভূমিকা। এলাকায় কাউন্সিলর না থাকার কারণে অভিযোগ দেওয়ার জায়গাও পান না নগরবাসী।

ময়মনসিংহ: নগরীতে যেসব সড়কের সংস্কারকাজ চলছিল, সেসব সড়ক খুঁড়ে রাখা অবস্থায় পালিয়েছেন ঠিকাদাররা। ফলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে একজন কর্মকর্তা একাধিক দায়িত্ব পালন করায় সাধারণ মানুষ যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না। যেকোনো সনদ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি না থাকায় মশা নিধন কর্মসূচি সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী।

ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে সিটির আওতাধীন শতকোটি টাকার ছয়টি প্যাকেজের সড়ক ও ড্রেন নির্মাণকাজ বাতিল করা হয়েছে। এতে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতাসহ ব্যাপক ভোগান্তির শঙ্কায় রয়েছেন নগরবাসী।

বরিশাল: বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা দায়িত্বে থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে তেমন একটা দেখা করতে পারছেন না। ফ্যামিলি কার্ড থেকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরের সময়ে ৯০ হাজার কার্ড থেকে প্রায় ৬০ জাহার কার্ড বাতিল হয়েছিল। এ নিয়ে বাসিন্দারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, নগরীতে বর্তমানে শতকোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত তদারকির অভাবে কাজের গতি অত্যন্ত ধীর। ফলে বর্ষা শুরুর আগে এসব রাস্তাঘাট ড্রেনের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।

এদিকে বাড়ি নির্মাণের জন্য করপোরেশনে জমা দেওয়া বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন পাচ্ছে না প্রার্থীরা। ফলে ১ হাজার ২০০-এর বেশি বাড়ির প্ল্যান আটকে আছে। তা নিয়ে বাড়ির মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন।

খুলনা: খুলনা মহানগরীতেও একই অবস্থা। খুলনার বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র রায় আত্মগোপনে থাকায় নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশনামার মতো জরুরি সেবা পেতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

ভুক্তভোগী সুলতানা শারমীন জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য নাগরিক সনদপত্রের প্রয়োজন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে তিন দিন এসেও সনদপত্র হাতে পাননি এখনো। সিটি করপোরেশন এলাকায় মেয়র না থাকায় রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজ থমকে গেছে ও মশক নিধন প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে।

রংপুর: রংপুরের ৩৩টি ওয়ার্ডে নিয়োজিত প্রশাসকরা নিজের দাপ্তরিক কাজের চাপে রংপুর সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ২৩ নং ওয়ার্ডের রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী শোয়াইব হক শীবতি বলেন, দীর্ঘদিন ঘোরাঘুরির পর ন্যাশনাল আইডি পেয়েছি। এত বেশি ভোগান্তি, কেউ যেন এই ফাঁদে পা না দেন।

সিটি করপোরেশনের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতিদিন ২০০ সনদ দেওয়ার কথা থাকলেও সার্ভেয়ার ও প্রশাসক নিয়মিত না থাকায় জনগণের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

Manual7 Ad Code

বিভাগীয় কমিশনার ও রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে আলাদা কথা, কিন্তু আমাদের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে কাজগুলো দ্রুত করার।

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, নাগরিকদের সব সেবা অব্যাহত রাখতে মেয়রের স্থলে বিভাগীয় কমিশনার ও কাউন্সিলরদের স্থলে সরকারি দপ্তরের ১৮ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজ দপ্তরের কাজের বাইরে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব কেউ ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর একাধিক ওয়ার্ডের দায়িত্ব রয়েছে। তারা সপ্তাহে দুই দিন ছুটিতে থাকেন। বাকি পাঁচ দিন বিকেল হতে না হতে কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া নিজ দপ্তরের কাজে তারা মাঝে মধ্যে জেলার বাইরে থাকেন। এতে আগের মতো সেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে না।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code