প্রজন্ম ডেস্ক:
দিনে দিনে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের চারপাশে উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে। ভবনমালিকরা কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা করছে না। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ ফুটের ওপর ভবন তোলা নিষিদ্ধ থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমানবন্দরের আশপাশে উঁচু ভবন থাকছে না। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশেই। যেখানে সেখানে যত্রতত্রভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে তৃতীয়তলার স্থানে ছয়-সাততলা পর্যন্ত ভবন করে ফেলা হচ্ছে। এমনকি শাহজালালের ভেতরেই বেবিচক সদর দপ্তর ও মার্কেটটি উঁচু হওয়ায় ফ্লাইট ওঠা-নামায় সমস্যা হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার ভবনে প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে উঁচু ভবনের বিষয়টি সামনে আসে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানবন্দরের আশপাশে আর যেন উঁচু ভবন তৈরি হতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে। অনুমতি ছাড়া গড়ে ওঠা ভবনগুলো কীভাবে সরানো যায়, তা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা অনুমতি না নিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আলোচিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর দিয়ে আসা বিমানগুলো ঝুঁকির মধ্যে নেই। ঢাকা থেকে বিমানবন্দর সরিয়ে ফেলা জরুরি বলে তারা মনে করছেন।
৫০০ ফুটের বেশি উঁচু ভবন করা নিষেধ :
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানবন্দরের আশপাশে প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে আবাসিকের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অবকাঠামোও। চোখ বুজে বাস্তবতা তখন মেনে নিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। নিয়ম ভেঙে বিমানবন্দরটির সীমানা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে বহুতল ভবন। বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সীমানা ও আশপাশ এলাকায় ৫০০ ফুটের বেশি উঁচু ভবন তৈরি করা যাবে না। কিন্তু বেশিরভাগ ভবনই আট থেকে দশতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা আছে। তাছাড়া বিমানবন্দরের ভেতর ও বাইরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খোদ বেবিচক কার্যালয়টিও বহুতল ভবন। তার পাশেই একটি বিশাল শপিং মল। আরেকটি উঁচু ভবন নির্মিত হচ্ছে সেখানে। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের রানওয়ের আশপাশে সহস্রাধিক ‘অধিক উচ্চতার’ ভবন চিহ্নিত করেছে বেবিচক। অনুমোদনের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতার ভবন নির্মাণ করায় এগুলো ফ্লাইট ওঠানামায় ঝুঁকি তৈরি করছে। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ যে স্থান দিয়ে করে, তার চারপাশ খোলা থাকতে হয়। অথচ বড় বড় ভবন তৈরি করায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
ঝুঁকির মধ্যে নেই মাইলস্টোন!
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলেও মাইলস্টোন ঝুঁকির মধ্যে নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি সংক্ষিপ্ত নোট পাঠানো হয়েছে সরকারের হাইকমান্ডের কাছে। এ প্রসঙ্গে বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, শাহজালালের আশপাশে এলাকাগুলোর উঁচু ভবনগুলোই সমস্যা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর যে আলোচনা হচ্ছে বিমান চলাচলের রাস্তায় কেন স্কুল করতে দেওয়া হলো। এটা আমাদের বুঝতে হবে বিমান অবরতণের স্থান অনেক দূরে। তাছাড়া স্কুলের অনেক ওপর দিয়ে বিমান চলাচল করে। এতে স্কুলটি কোনো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে না বলে আমার মনে হয়। আমাদের দেখতে হবে বিমানবন্দর বা রানওয়ের আশপাশে উঁচু ভবন কেমন আছে। মাইলস্টোনের রাস্তা যদি সমস্যা হয় তাহলে ১, ৫ ও ১৫ নম্বর সেক্টরে তো তৃতীয়তলার ওপর কোনো ভবন নির্মাণই করতে পারবে না। বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই অবস্থা। তিনি আরও বলেন, শাহজালালের চারপাশে অন্তত সহস্রাধিক ভবন আছে, সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে প্রশিক্ষণ করা বিমানগুলো অন্য রুট ব্যবহার করা উচিত। প্রশিক্ষণরত বিমানের চালানোর গতি থাকছে অনেক বেশি। ঘণ্টায় প্রায় ৭০০-৮০০ কিলোমিটার বেগে। আর উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাণিজ্যিক ফ্লাইটের গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মতো। এ কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।
খোদ বেবিচক কার্যালয়ই বেজমেন্টসহ ১১-তলা :
নিয়মের মধ্যে থাকার কথা বললেও বেবিচকই আইন মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটির সদর দপ্তরই দুটি বেজমেন্টসহ ১১-তলা তৈরি করেছে। বছর দুয়েক আগে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টর ঘেঁষা তৃতীয়তলায় বেবিচকের কার্যক্রম চলে আসছিল। সংস্থাটির সদর দপ্তরের সঙ্গেই সেন্টার পয়েন্ট নামে একটি শপিং মল, সিনেমা হলের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এ ভবনটিও আটতলা। শাহজালালের অভ্যন্তরীণেই দুটি উঁচু ভবন থাকায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বেবিচকের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
যেসব এলাকায় বেশি উঁচু ভবন :
উত্তরা ১, ৫ ও ১৫ নম্বর সেক্টর, দলিপাড়া, উলুদাহা, চ-লভোগ, পাকুরিয়া ও খিলক্ষেতসহ আরও কিছু এলাকায় যেসব উঁচু ভবন আছে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এসব এলাকার স্থান দিয়ে বিমান ওঠানামা করছে। এমন এলাকায় বিমান চলাচলের সময় অল্প কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈমানিকের ভুল সিদ্ধান্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিশেষ করে বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় যদি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে নিচের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর। গতকাল দলিপাড়া, চন্ডলভোগ, নিকুঞ্জসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বড় ভবন দাঁড়িয়ে আছে। নিকুঞ্জে লোটাস কামাল টাওয়ারটি বেশি উঁচু। এই ভবনের পাশেও একাধিক ভবন সাত-আটতলা করা হয়েছে। বিমানগুলো যে রুট দিয়ে উড্ডয়ন করে (বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশ) সেখানেও কয়েকটি উঁচু ভবন দেখা গেছে। অথচ এই এলাকায় তৃতীয়তলার ওপর ভবন করাই যায় না। দলিপাড়ার অবস্থাও একই। পুরো এলাকায় বড় বড় ভবন আছে চন্ডলভোগ ও উলুদাহা এলাকায়ও দেখা গেছে একাধিক উঁচু ভবন। আরও বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে।
আইকাওতে কী নির্দেশনা আছে :
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অ্যানেক্স-১৪ নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এমন এলাকা নির্বাচন করতে হবে, যা জনবসতি থেকে দূরে, শব্দদূষণ কম এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি হ্রাসে উপযোগী। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব নীতিমালাতেও এ নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে জনবহুল এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে বিপদের আশঙ্কা তৈরি করছে। তাছাড়া ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও একাধিক নির্দেশনা রয়েছে।
শাহজালালের অতীত ইতিহাস :
বেবিচক সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুরনো নাম ছিল জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এ বিমানবন্দর দিয়ে ৫২ শতাংশের বেশি আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা করে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে এ বিমানবন্দর। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামার জন্য একটি রানওয়ে তৈরি করে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মতে, টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করা হয়। নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের জন্য একটি রেলস্টেশন (বর্তমান এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন) নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল। কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরে গুরুতর ক্ষতি হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পরিত্যক্ত কাজ পুনরায় চালু করে এবং দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন। রাজনৈতিক কারণে আরও তিন বছর লাগে পুরো কাজ সম্পন্ন হতে। ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে।
প্রতিদিন শতাধিক ফ্লাইট ওঠানামা:
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শাহজালাল বিমানবন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে, যা নাগরিকদের জন্য একটি স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করছে। ৪৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি এয়ারওয়েজ যাত্রীবাহী বিমান সার্ভিস ছাড়াও ১০-১২টি বিমান সংস্থা কার্গো বিমান ও হেলিকপ্টার সার্ভিস পরিচালনা করছে। প্রতিদিন ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে।
অ্যাভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাখা ঠিক হচ্ছে না। শাহজালাল যখন চালু হয় তখন চারপাশে তেমন জনবসতি ছিল না, কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ। প্রতিনিয়ত বিমান ওঠানামার ফলে এই এলাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেও পারে। বিশেষ করে উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া তাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে এখনই জাতীয় পর্যায়ে চিন্তাভাবনা শুরু করা উচিত। কারণ একটি নতুন বিমানবন্দর তৈরি ও চালু করতে কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগবে। আশা করি দেশের স্বার্থে ঢাকার বাইরে উন্নতমানের বিমানবন্দর তৈরি করার উদ্যোগ নেবে সরকার। একই কথা বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক এলাহী চৌধুরীও। তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে বেসামরিক বিমান চলাচলের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মূল বেইস পরিচালিত হয়, যা একটি অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে। আজ থেকে আরও ২০ বছর আগেই বিমানবন্দরটি আড়িয়াল বিল এলাকায় শিফট করার পরিকল্পনা ছিল, তবে স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে সেটি সম্ভব হয়নি। ওই স্থানে হলে সবচেয়ে ভালো হতো।
বিমানবন্দর শহরের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ :
শাহজালাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ঘনবসতি এলাকার মধ্যে চলে যাচ্ছে। এতে দিনে দিনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শাহজালাল বিমানবন্দর। এ ক্ষেত্রে বিমানবন্দর শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন বিশ্লেষক। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার উত্তরার মতো আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলো এখন শাহজালালের রানওয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। পাশাপাশি মিরপুর, তেজগাঁও, বনানী, খিলক্ষেত, আশকোনা, টঙ্গী এসব এলাকাও উড্ডয়ন পথের মধ্যে পড়ে। এ কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইডিয়াল অবস্থান হওয়া উচিত জনবহুল এলাকা থেকে অনেক দূরে। শাহজালালের ক্ষেত্রে উল্টোটা ঘটেছে ঢাকা যত বড় হয়েছে, বিমানবন্দর ঘিরে ততই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গড়ে উঠেছে। সরকারের উচিত ছিল বিমানবন্দর এলাকায় বসতি উঠতে না দেওয়া।
Sharing is caring!