প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কাকে দলের দায়িত্ব দিচ্ছেন হাসিনা?

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
কাকে দলের দায়িত্ব দিচ্ছেন হাসিনা?

Manual7 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন দলের কিছু নেতা ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু চব্বিশের ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি ভিন্ন। নেতাকর্মীদের রেখে দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং পালিয়ে গেছেন ভারতে। দেশে যেসব নেতা রয়েছেন তারাও দৃষ্টিসীমার বাইরে, অনেকে আত্মগোপনে। সভাপতি বিদেশে, সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ নেই, জ্যেষ্ঠ নেতারা আত্মগোপনে—এমতাবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের হাল ধরবেন কে? কার ওপর আস্থা রাখবেন শেখ হাসিনা?

Manual3 Ad Code

বিদেশে থাকায় ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। সেসময় তিনি পশ্চিম জার্মানি থেকে ভারতে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করেছেন দলটির অনেক বড় বড় নেতা।

শোনা যায়, যাওয়ার আগ মুহূর্তে কাউকে কিছু না বললেও দলের অন্তত দুজন নেতাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিস্থিতি বিবেচনায় নেতাকর্মীরা যেন ভারতে চলে যায়। এ কারণেই কি সব ‘মাস্টারমাইন্ড’ও ভারতে পৌঁছে গেছেন নিরাপদে?

ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। দুবাই চলে যাচ্ছেন- এমনটা চাউর হয়ে আছে কদিন থেকে।

Manual4 Ad Code

শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার এই সংবাদে সারা দেশ এখন উত্তাল, ঠিক তখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সজীব ওয়াজেদ জয় জানালেন, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়।

জয় বলেন, ‘আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।’

এর আগে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ছাড়তে কোনো চাপ নেই।

যাই হোক, মাঝেমধ্যে শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অনেকেই এটাকে ‘অডিও বিপ্লব’ বলছেন। পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অডিও বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে নিমিষেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কার হাতে দিচ্ছেন। এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। নেতাকর্মীরাও চাচ্ছেন দলকে সংগঠিত করতে।

Manual1 Ad Code

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ অডিও বার্তা হাসিনা বলছেন- কাকে দায়িত্ব দেব? যাকেই দেব সেই তো গ্রেফতার হয়ে যাবে। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, হাসিনা দলের কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিনি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করবেন পরিবারের মধ্যেই কাউকে বেছে নিতে।

Manual3 Ad Code

দু’মাস হয়ে গেল শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ছোটবোন রেহানা। কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কাজের সূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনিও দেখা করছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করছেন। করছেন শলা-পরামর্শও। এ নিয়ে নানা গুজব তো রয়েছেই। ওদিকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। দলকে সংগঠিত করার তাগিদ দিচ্ছেন। ডাকসাইটে সাবেক এক মন্ত্রীকে দল গোছানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, অঘোষিতভাবে।

সাংগঠনিক এ বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক আলোচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে দলের হাল ধরতে যাচ্ছেন বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে। তবে এ ধরনের গুঞ্জনকে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

আওয়ামী লীগের আত্মগোপনে থাকা সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েকজন সদস্য গণমাধ্যকে বলেছেন, দলের প্রয়োজনে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এলে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্য থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচিত নেতৃত্বের বাইরে থেকে কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার নজির আওয়ামী লীগে নেই।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code