প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভিসা নিয়ে কুয়েতের সুখবর : বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন যেসব সুবিধা

editor
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ভিসা নিয়ে কুয়েতের সুখবর : বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন যেসব সুবিধা

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ডিজিটাল অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) চালু করেছে কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্মটি কুয়েতে ভ্রমণ, ব্যবসা, পরিবারিক ও সরকারি সফরের প্রক্রিয়া অনেক সহজ করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ই-ভিসা কেবল পর্যটকদের জন্য নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

Manual3 Ad Code

নতুন ই-ভিসা প্ল্যাটফর্মে মোট চার ধরনের ভিসা পাওয়া যাবে- পর্যটন, পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও সরকারি। এর ফলে আবেদনকারীরা দ্রুত, কম সময়ের মধ্যে এবং অপেক্ষাকৃত কম ঝামেলায় ভিসা পেতে পারবেন। পর্যটন ভিসা ৯০ দিন, পারিবারিক ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক ভিসা ৩০ দিন মেয়াদ থাকবে।

চার ধরনের ভিসার সুবিধা
১. পর্যটন ভিসা : এই ভিসায় একজন বিদেশি সর্বোচ্চ ৯০ দিন কুয়েতে অবস্থান করতে পারবেন। কুয়েতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্থান ও অবসর বিনোদনের সুযোগ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী।

২. পারিবারিক ভিসা : কুয়েতে বসবাসরত অভিবাসীরা তাদের স্বজনদের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। এতে পরিবার পুনর্মিলনের সুযোগ সহজ হবে।

Manual4 Ad Code

৩. ব্যবসায়িক ভিসা : উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি যারা কুয়েতে মিটিং, সেমিনার বা ব্যবসায়িক আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাদের জন্য ৩০ দিনের এই ভিসা সুবিধা দেবে।

৪. সরকারি ভিসা : আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে আসা কূটনৈতিক ও সরকারি প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসা, যা কুয়েতি সরকারের আমন্ত্রণসাপেক্ষে প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া
এই ই-ভিসা ব্যবস্থার সুবিধা পেতে কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এতে কাগজপত্র ও দাফতরিক ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে।

Manual5 Ad Code

এই উদ্যোগ কুয়েতের বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তর পরিকল্পনার অংশ। সরকারের লক্ষ্য- দেশকে আধুনিক নাগরিকসেবায় অগ্রগামী হিসেবে গড়ে তোলা এবং কুয়েতকে আন্তর্জাতিক পর্যটন, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে রূপান্তর করা।

কুয়েতে ই-ভিসা চালুর উদ্যোগটি উপসাগরীয় অঞ্চলের আসন্ন ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর ভিসা’ প্রকল্পের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ভিসা একাধিক উপসাগরীয় দেশ ঘুরে দেখার অনুমতি দেবে। এই বহুল প্রতীক্ষিত বহুদেশীয় ভিসা ব্যবস্থাটি শিগগিরই চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

কুয়েত বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি লুৎফর রহমান মুখাই আলী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী গ্রুপ তৈরি করে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক সংগঠন তৈরি করা যাবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক পণ্য মধ্যপ্রাচ্যে আনা যাবে।

এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে পর্যটন ও ব্যবসায়িক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা দেবে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code