স্টাফ রিপোর্টার:
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মানবপাচার ও পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে ১৪ জন নারীকে উদ্ধার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম)। উদ্ধারকৃত নারীদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, তিনজন ভারতীয় ও একজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এ যেনো প্রবাসে বাংলাদেশী নারীদের জীবনের এক ভয়াল রূপ।
জেআইএম কুয়ালালামপুরের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৯ জুলাই দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ‘অপ প্যান্টাস (এটিআইপি)’ নামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযান মানব পাচার বিষয়ক জাতীয় নির্দেশিকা এনজিএইচটিআই ২.০ অনুসরণ করে পরিচালিত হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক বাংলাদেশি নারী জানান, সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তার প্রেমিক তাকে বিক্রি করে দেয় এবং পরে তাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত টের পেয়ে বেশ কয়েকজন খদ্দের পালানোর চেষ্টা করেন।
অভিযানে ওই ভবনের তিনজন তত্ত্বাবধায়ককেও আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালানবিরোধী আইনের ১২ ধারায় তদন্ত চলছে।
এছাড়া অভিযান চলাকালে ১৬ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯ জন নেপালি, দুইজন বাংলাদেশি এবং পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, পতিতালয়টি সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং মূলত পথচারীদের লক্ষ্য করেই খদ্দের সংগ্রহ করা হতো।
Sharing is caring!