স্পোর্টস ডেস্ক:
গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ জিতেছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। এটিই ছিল ১২০ বছরের ইতিহাসেম ক্লাবটির প্রথম শিরোপা। এরই মধ্য দিয়ে ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের সেই যোগ্যতা কেড়ে নিয়েছে ইউরোপ ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা উয়েফা।
আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগের বদলে কনফারেন্স লিগে খেলবে ক্রিস্টাল প্যালেস। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মাল্টি-ক্লাব মালিকানা সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘন। মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটর একদিকে ক্রিস্টাল প্যালেসের মালিকানায় আংশিক অংশীদার, অন্যদিকে তিনি ফরাসি ক্লাব লিওঁর প্রধান মালিক। লিগ ওয়ানেরর ক্লাবটিও ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
উয়েফার নিয়মে—একই ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় দুটি ক্লাবের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ, যাদের ওপর এক ব্যক্তির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ফলে এফএ কাপ জয়ী হিসেবে ইউরোপা লিগের টিকিট পাওয়া প্যালেসকে নেমে যেতে হচ্ছে কনফারেন্স লিগে। তাদের জায়গায় ইউরোপা লিগে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে সপ্তম হওয়া নটিংহাম ফরেস্টের।
উয়েফা জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (সিএএস) আপিল করতে পারে, এবং ক্রিস্টাল প্যালেস এমনটাই করতে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, মাল্টি-ক্লাব মালিকানা পুনর্গঠন সংক্রান্ত প্রমাণ জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল ১ মার্চ ২০২৫। কিন্তু প্যালেস সেই সময়সীমা মিস করেছে।
এই অনিশ্চয়তা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে প্যালেসের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার পরিকল্পনায়। ইউরোপা লিগ খেলার আশ্বাস দিয়ে যেসব তারকা খেলোয়াড়কে দলে টানার চেষ্টা চলছিল, তাদের নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Sharing is caring!