প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে আওয়ামীপন্থি জনপ্রতিনিধিরা কে-কোথায়

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে আওয়ামীপন্থি জনপ্রতিনিধিরা কে-কোথায়

Manual1 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual1 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দলের ছত্রচ্ছায়ায় বিজয়ী হওয়া জনপ্রতিনিধিদের বেশীরভাগ এখন লাপাত্তা। রাজনীতির মাঠ কিংবা চেয়ার কাপানো সেই জনপ্রতিনিধিদের অনেকে একধরনের গায়েব। তাদের কেউ আছেন আত্মগোপনে, কেউ আছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এতে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণের।

Manual1 Ad Code

জানা যায়, গত ১৬ বছর থেকে বিয়ানীবাজারের সর্বত্র আওয়ামীপন্থি জনপ্রতিনিধিদের দাপট ছিল। উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদসহ সর্বত্র ছিল আওয়ামীলীগ নেতাদের বিচরণ। বিশেষ কারণে দু’য়েকটি চেয়ারে ভিন্নমতের সমর্থকরা বিজয়ী হলেও তারা নিশ্চুপ সময় পার করতেন। উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে তাদের ভূমিকা ছিল গৌণ। নিজ দপ্তর পরিচালনায়ও তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার আওয়ামীপন্থি নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে চলতে হতো। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একসময়ের কোনঠাসা বিরোধীমতের জনপ্রতিনিধিরা এখন সরব হয়েছেন, আর চুপসে গেছেন আওয়ামীপন্থি জনপ্রতিনিধিরা।

Manual5 Ad Code

বিয়ানীবাজারের এমপি হিসেবে টানা ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি লাপাত্তা। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ৬টি মামলার বোঝা নিয়ে আত্মগোপনে। সরকার পতনের পর শহরে মিছিল করে নিজের অবস্থান জানান দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন তিনি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেত্রী জেসমিন নাহার সিলেটে নিজের বাসায় অবস্থান করছেন। পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক পদ থেকে অপসারণের দিনই লন্ডন চলে যান। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান আহবাবুর রহমান খান শিশু ২টি মামলার আসামী হয়ে কানাডা সফর করছেন। চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ সিলেট নগরী থেকে হত্যা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। শেওলা ইউপি চেয়ারম্যন জহুর উদ্দিন, মাথিউরা ইউপি চেয়ারম্যান আমান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। তবে তারা অতি গোপনে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছেন। সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খসরুল হক হত্যা মামলার আসামী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব।

বিয়ানীবাজার পৌর জামায়াতের আমীর কাজী জমির হোসাইন জানান, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে মিথ্যা মামলায় একাধিকবার কারাবরণ করেছেন মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। নামে-বেনামে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এরপরও আমরা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারো বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছিনা। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ভিন্নমত দমনে বিরোধীমতের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের স্টিম রুলার চালানো হয়েছে। এরপরও আমরা ধৈর্য্য ধরে আছি।

 

সূত্র জানায়, যে সকল জনপ্রতিনিধিরা এখনো বহাল আছেন, তাদের গ্রেফতারে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। নির্দেশনা পাওয়ার পরই গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code