প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইনজুরি কাটিয়ে মেসির জোড়া গোল, ভক্তদের ভাষায় ‘দ্য কিং ইজ ব্যাক’

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ণ
ইনজুরি কাটিয়ে মেসির জোড়া গোল, ভক্তদের ভাষায় ‘দ্য কিং ইজ ব্যাক’

Manual2 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছিল ইনজুরির সময়টা। বাড়ছিল ভক্তদের অপেক্ষাও। সবুজ ঘাসের গোল বলটাও যেনো মিস করতে শুরু করেছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসিকে। অবশেষে মাঠে ফেরার গানে শুধু সাড়াই দেননি এলএমটেন। ৩৭ বছর বয়সে ইনজুরি থেকে দুই মাস দুই দিন পর ফিরে জোড়া গোলে রিতিমত মাতালেন মঞ্চ, মেজর লিগে রেকর্ড গড়ে পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ভক্তদের ভাষায়, ‘দ্য কিং ইজ ব্যাক’।

Manual3 Ad Code

ম্যাচের শুরুতেই অ্যারন লং যখন গোল করলেন, ইন্টার মায়ামি তখন খাদের কিনারায়। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া দলের সামনে তখন দুই গোল ফিরিয়ে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। লিওনেল মেসি নামের জাদুকর আছে যে দলে, তাদের জন্য অসম্ভব বলে তো কিছু নেই! ৩৭ বছর বয়সেও সেরা সময়ের ছবি মেলে ধরে সেই চ্যালেঞ্জ জিতেই ইন্টার মায়ামিকে সেমি-ফাইনালে তুললেনে আর্জেন্টাইন মহানায়ক।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে ৩-১ গোলে হারাল ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় মেসির দল পৌঁছে গেল শেষ চারে।

জোড়া গোল করে সেই জয়ের নায়ক মেসি। পিছিয়ে থাকা দলের আশা ফেরে তার গোলে, পরে জয়সূচক গোলও আসে তার পা থেকে।

Manual1 Ad Code

প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আরও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের নবম মিনিটেই। জটলার মধ্য থেকে মায়ামির রক্ষণের ভুলে নবম মিনিটে গোল করেন অ্যারন লং।

৩১তম মিনিটে চকিতে ফ্রি-কিক নিয়ে সরাসরি বল জালে পাঠান মেসি। মায়ামি মেতে ওঠে উল্লাসে। তবে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার উগো লরিস ও অন্যরা কেউ তখনও প্রস্তুতই ছিলেন না। তাদের দাবির মুখে ভিএআর দেখে গোল দেননি রেফারি।

তবে মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরে মায়ামি। লুইস সুয়ারেসের টোকায় বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকেই আচমকা শট নেন মেসি। তার বাঁ পায়ের দুর্দান্ত কোনাকুনি শট আশ্রয় নেয় জালে।

মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি ছিল অদ্ভুত। ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলমুকে আলতো করে চিপ করেন নোয়াহ অ্যালেন। তার সতীর্থ ফেদেরিকো রেদোন্দো ছুটে গিয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি, তবে উড়ন্ত বল ধরতে এগিয়ে এসে ফ্লাইট বুঝতে পারেননি লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার লরিসও। বল মাটিতে পড়ে ঢুকে যায় জালে।

Manual2 Ad Code

৮২তম মিনিটে মায়ামির কর্নার থেকে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলমুখে জটলার মধ্যে হ্যান্ডবলের আবেদন তোলেন মেসিরা। ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, মার্ক দেলগাদোর হাতে লেগেছে বল। থেকে ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিতে গোল করেন মেসি।

Manual3 Ad Code

ম্যাচের শেষ দিকে দুই দফায় বড় বিপদ থেকে মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার অস্কার উস্তারি। শেষ বাঁশি বাজতেই খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code