প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে ঝুকিপূর্ণ গ্যাস রাইজার পরীক্ষায় আগ্রহ কম

editor
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০২৫, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে ঝুকিপূর্ণ গ্যাস রাইজার পরীক্ষায় আগ্রহ কম

Manual3 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual1 Ad Code

 

বিয়ানীবাজারে মাটির নিচ দিয়ে স্থাপিত গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনে প্রায় সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় দুই দশক আগে এসব গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন বসানো হয়েছিল। পাইপ ক্ষয় এবং উন্নয়ন কাজে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মাটির নিচে থাকা গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এখানে স্থাপিত রাইজার কিংবা পাইপ লাইন স্থাপনের পর থেকে আর কোন পরীক্ষা করা হয়নি। উপজেলার সহস্রাধিক ত্রুটিপূর্ণ রাইজার ঝুকিমুক্ত করতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে পুরাতন এসব পাইপলাইন ও রাইজার পরিবর্তন ও পরীক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিয়ানীবাজার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনের ৫০ বছরের কার্যক্ষমতা রয়েছে। এসব পাইপলাইন খুবই উন্নতমানের। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঝুমিুক্ত।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিয়ানীবাজারে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। তখনই মাটির নিচে গ্যাসের বিরতণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে এসব বিতরণ পাইপলাইন আর পরিবর্তন করা হয়নি। জানা যায়, বিয়ানীবাজারে কোনো মাস্টারপ্ল্যান্ট অনুসরণ করে গ্যাস লাইন স্থাপন করা হয়নি। গ্যাস বিতরণ লাইনের ওপর বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার লাইন স্থাপন ও উন্নয়নকাজে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন অনেক জায়গা্য় ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিগত সময়ে রাইজার বিস্ফোরনের অনেকেই আহত হয়েছেন।

জালালাবাদ গ্যাস টিএ্যান্ডডি সিস্টেম লিমিটেডের স্থানীয় অফিস প্রধান সুলতান আহমদ জানান, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এখানকার ৮ কিলোমিটার গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন রয়েছে। এসব পাইপলাইন ২ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

 

Manual4 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

এদিকে রাইজার হলো গ্যাস-সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। রাইজারে বাল্ব, মিটার ও রেগুলেটর থাকে। এর মাধ্যমে গ্যাসের চাপ (প্রেশার) কমানো হয়। পাশাপাশি রেগুলেটরের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। একটি রাইজার ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে বহু বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। রাইজারে ত্রুটি থাকলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হয়।

 

বিয়ানীবাজার পৌরশহর কিংবা গ্রামীণ এলাকায় রাইজার বা পাইপ লাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

 

স্থানীয় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিভিন্ন কারণে গ্যাসলাইনে ত্রুটি বা ছিদ্র হতে পারে। এ জন্য স্থাপিত রাইজারগুলো অথবা সংযোগ পরীক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, গ্যাসলাইনের কোথাও ছিদ্র আছে কি না, তা বের করতে নিয়মিত বিরতিতে রাইজার পরীক্ষা করা উচিত। লাইনে ছিদ্র থাকলে গ্যাসের অপচয় বাড়বে। রাইজারের কোনো বাল্ব সিল নষ্ট কি না, তা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, লাইনে কোনো প্রকার বাহ্যিক বস্তু আছে কি না, তা দেখতে হবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code