প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

এক প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকার অনশন

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ণ
এক প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকার অনশন

Manual8 Ad Code

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

Manual6 Ad Code

 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে এক তরুণকে বিয়ে করতে অনশন করেছেন দুই তরুণী। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে ওই গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহিনকে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন তারা।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান নেন। তার আসার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আরেক তরুণীও বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে আসেন। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে ঘোড়াগাছা গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাদের দুই পরিবার বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু শাহিন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহিনের বাড়িতে ওঠেন।

Manual6 Ad Code

অন্যদিকে দুই মাস হলো বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আরেক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহিনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর তিনিও ওই বাড়িতে আসেন বিয়ের দাবিতে। এমন ঘটনায় শাহিন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

 

 

ঘোড়াগাছা গ্রামের তরুণী বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহিন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই শাহিনের বাড়িতে এসেছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে আমার কোনো সমস্যা নেই।

Manual7 Ad Code

অন্য প্রেমিকা বলেন, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগেও শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করাই সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমিতো ওকে ভালোবাসি। আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।

Manual4 Ad Code

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এখন নেই। তবে তারা যেহেতু বিয়ে করতে বাড়িতে চলে এসেছে, তাদের দুজনকে বিয়ে করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। দুজনকেই আমি বিয়ে করতে রাজি।

হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে অপর প্রেমিকা তার বাড়ি ফিরে গেছেন। আর ঘোড়াগাছা গ্রামের প্রেমিকাকে শাহিন বিয়ে করেছেন।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code