প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচারকাজ শেষ হয়েছে। এই মামলার রায় কবে হবে তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানা যাবে।

Manual1 Ad Code

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।

এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, এ হত্যাযজ্ঞ হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। শেখ হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ আহতরা অবিচারের শিকার হবে।

Manual1 Ad Code

এর আগে বুধবার গতবছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হাসিনা-কামালের খালাসের প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত নিযুক্ত আইনজীবী। দায় থেকে বাঁচতেই সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন বলেও দাবি তার।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের মামলায় বিচার শুরু হয় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। এরপর ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ সাক্ষীর জবানবন্দি এবং ৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে তিন দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়, যা শেষ হয় বুধবার (২২ অক্টোবর)।

ওইদিন যুক্তিতর্কে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। বলেন, দায় থেকে বাঁচতেই এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি। হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন এ আইনজীবী।

অপরাধ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে হাসিনা কামালের খালাস চেয়েছেন তিনি।

এছাড়াও যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। একই সঙ্গে আসামিদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন করা হয়। আর রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন সাজার আবেদন করেনি প্রসিকিউশন।

শেখ হাসিনার এ মামলায় ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হলেও ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন ৫৪ জন। তাদের সবাইকেই জেরা করেছেন আমির হোসেন।

তবে প্রসিকিউশন বলছে, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) পাল্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন চিফ প্রসিকিউটর। সমাপনী বক্তব্য দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেলও। এরপরই রায়ের দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা প্রসিকিউশনের।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার এ মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী (আসামি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে আমরা জবাব দেবো। তবে কিছু অংশ আমরা উপস্থাপন করে জবাব দিয়েছি। বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য রাখবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে।

Manual3 Ad Code

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code