প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শুকুর আলীর সঙ্গে বেজির বন্ধুত্ব, এলাকায় চাঞ্চল্য

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ণ
শুকুর আলীর সঙ্গে বেজির বন্ধুত্ব, এলাকায় চাঞ্চল্য

Manual8 Ad Code

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

সভ্যতার অগ্রগতিতে যখন বন্য প্রাণীদের অস্তিত্ব সংকট চলছে, তখন বেজির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। দেখে সিনেমার চিত্রনাট্য মনে হলেও বাস্তবে সত্যি।

কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে দুলাল মিয়া তিন বছর আগে জঙ্গল থেকে একটি বেজির বাচ্চা ধরে নিয়ে আসেন বাড়িতে। এরপর তার বাবা শুকুর আলী বাচ্চাটিকে খাঁচায় রেখে খাওয়ান। আদর করে নাম রেখেছেন রুপালি।

শুকুর আলী উলিপুর-রাজারহাট সড়কের নারিকেল বাড়ি সন্ন্যাসী তলায় চা-বিস্কুট দোকান করেন। দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই তিনি খাঁচায় করে বেজিটিকে দোকানে নিয়ে এসে ছেড়ে দেন। এরপর রুপালি নামে ডাক দিলে দৌড়ে চলে আসে। দুধ, কলা, সমুচা, চিপস, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খেয়ে আবার দোকান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে বেড়ান। খিদে পেলে দোকানে এসে পেছনে পেছনে ঘোরে এবং লাফালাফি করে।

Manual3 Ad Code

 

সন্ধ্যা হলে খাঁচায় তুলে বাড়িতে নিয়ে যান। কিছুদিন পর খাঁচা ব্যবহার না করে বেজিটিকে শুকুর আলী বাড়ি থেকে হেঁটে দোকানে নিয়ে আসেন এবং আবার দোকান থেকে হেঁটে বাড়িতে নিয়ে যান। এখন বেজিটি বাড়িতে যাওয়া-আসার ভয়ে থাকে কুকুরের আক্রমণ। দিন যতই যাচ্ছে বেজি আর শুকুর আলীর সঙ্গে ততই বন্ধুত্ব বাড়ছে। শুকুর আলী সপ্তাহে এক দিন স্যাম্পু দিয়ে বেজিটিকে গোসল করিয়ে দেন।

Manual1 Ad Code

ঘটনাটি জানাজানি হলে বিভিন্ন এলাকার থেকে মানুষজন বেজি আর মানুষের বন্ধুত্ব দেখার জন্য দোকানে আসছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ বিস্কুট, কলা, সমুচাসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দেন। বেজিটি এ পর্যন্ত কারও কোনো ক্ষতি করেনি।

 

Manual4 Ad Code

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল মিয়া, আশাদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, শুকুর আলী পশু-পাখিপ্রেমী। শুধু বেজি নয়, এর আগে তিনি জঙ্গলের ইঁদুরকে পোষ মানিয়েছিলেন। এখনো মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়ানো পাখিকে হাতে করে খাবার খাওয়ান। তার এগুলো দেখে আমরা অবাক হয়েছি।

শুকুর আলী বলেন, মানুষ হয়ে মানুষের কথা শোনে না, মানে না। অথচ বনের পশু কথা শোনে, মানে। আমি মানুষকে দেখানোর জন্য বেজিটিকে ছোট থেকে পুষতেছি। নাম দিয়েছি রুপালি। এখন আমার সঙ্গে হেঁটে বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়া-আসা করে। যখনই নাম ধরে ডাকি যেখানেই থাক আমার কাছে চলে আসে। বর্তমানে আমি বেজিটিকে সন্তানের মতো লালন-পালন করছি।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code