প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে দুর্ভোগের শুরু

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে দুর্ভোগের শুরু

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে শুরু সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের। প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ক দিয়ে
সিলেট থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে একসময় সময় লাগতো ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। এখন সময় লাগে প্রায় দ্বিগুণ। ৬ লেনে সম্প্রসারণের কাজ এবং স্থানে স্থানে খানাখন্দের কারণে রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে মহাসড়কটি।

Manual6 Ad Code

বিশেষ করে মহাসড়কের হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক হয়ে ওঠেছে ভোগান্তির শুরু। এই দুই কিলোমিটারেই শুরু হয় ঢাকা পর্যন্ত আড়াইশ’ কিলোমিটারের যাত্রা ভোগান্তি। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজে ধীরগতির কারণেই এই ভোগান্তি বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা।

Manual2 Ad Code

সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে কয়েক হাজার গাড়ি। টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গাড়িগুলো হুমায়ূন রশিদ চত্বর হয়ে চন্ডিপুল দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। যাত্রার শুরুতেই চালক ও যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। বছর খানেক আগেও সিলেট থেকে বাসযোগে ঢাকায় যেতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগতো। এখন সময় লাগছে প্রায় দ্বিগুণ।

Manual7 Ad Code

মহাসড়কজুড়ে সম্প্রসারণ কাজ, স্থানে স্থানে খানাখন্দ ও ভাঙাচোরার জন্য ধীরগতিতে চলতে হয় যানবাহনকে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালের বন্যায় হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে জরুরি মেরামত কাজ করলেও স্থায়ী সংস্কার করেনি।

ফলে গত প্রায় একবছর ধরে মহাসড়কের শুরুর এই দুইকিলোমিটার অংশ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কের পিচ ওঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সম্প্রতি সড়কের এক অংশ বন্ধ রেখে আরেক অংশে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে সওজ। এতে বেড়েছে আরও ভোগান্তি। বাস চালকরা জানিয়েছেন, হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত যেতে আগে ৫ মিনিট সময়ও লাগতো না। এখন সময় লাগে ৪০ মিনিট থেকে একঘন্টা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রেজাউল হক জানান, হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত অংশের দুইপাশে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়ক আর ধুলোবালুর কারণে প্রায় একবছর ধরে তারা ব্যবসা করতে পারছেন না। ভোগান্তির কারণে মানুষ মহাসড়কের ওই অংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতে চান না।

এদিকে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনের কাজ ধীরগতিতে চলায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে গন্তব্যে পৌঁছাতে। খানাখন্দের কারণে বয়স্ক ও অসুস্থরা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। যানজটে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

হানিফ পরিবহনের চালক আবদুল হামিদ জানান, একসময় সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘন্টায় ঢাকা থেকে সিলেট আসা যেত অনায়াসে। এখন গাড়ি ছাড়ার পর কখন গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে সেটা আগে থেকে বলা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

Manual4 Ad Code

সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন জানান, হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত বেশি ভাঙা অংশের একপাশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যে ওই অংশ খুলে দিয়ে অপর অংশে কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নিতকরণের জন্য সিলেটের নাজিরবাজার থেকে শেরপুর পর্যন্ত কাজ চলছে। যে কারণে ওই অংশে যাত্রী ভোগান্তি বেশি। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ শেষ হবে না।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code