প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ

Manual6 Ad Code

বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি:
বরগুনায় আসমা আক্তার পুতুল (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী মো. আবুল কালাম (৩৫)। তবে কি কারণে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগান বাড়ি এলাকার ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

Manual1 Ad Code

নিহত ওই গৃহবধূ বরগুনার চান্দখালী এলাকার বকুলতলী নামক এলাকার বাসিন্দা ইউনুসের মেয়ে।

বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Manual4 Ad Code

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরসভার বাগান বাড়ি এলাকার বাসায় স্ত্রী ও দুই বছর বয়সি এক ছেলে ও সাত বছর বয়সি মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতেন আবুল কালাম। তিনি বরগুনা বাজারে একটি চায়ের দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন। স্ত্রীর পুবালী ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে চাকুরি পেলে বেতনের টাকা স্বামীকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। এ ঘটনার জেরে সন্তানদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায় আবুল কালাম। পরে স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মো. রাসেল বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে কালাম তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তবে আমি তাদের মধ্যে কোনো ধরণের পারিবারিক কলহ দেখতে পাইনি। এমনকি প্রতিবেশী যারা আছে তারাও দেখেনি। রাতে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি স্ত্রীকে মেরে ঘর থেকে স্বামী কালাম বের হয়ে চলে গেছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই এবং হাসপাতালে ফোন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসতে বলি। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Manual8 Ad Code

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, সন্ধ্যায় আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করি আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা আবুল কালামকে নিয়ে হত্যার সময় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা বোধ করছি। এছাড়া মামলার মাধ্যমে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code