প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট অঞ্চলে ঝুলে আছে ৪ লাখ এনআইডি আবেদন

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ
সিলেট অঞ্চলে ঝুলে আছে ৪ লাখ এনআইডি আবেদন

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট অঞ্চলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আবেদন ঝুলে আছে ৪ লাখ ৯ হাজার ৭৮৬টি। সবচেয়ে বেশি আবেদন ঝুলে আছে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম খানের টেবিলে।

Manual3 Ad Code

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সিলেট অঞ্চলের এনআইডি সেবার অগ্রগতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন বিষয় উঠে এসেছে।

ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলমের দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলে আবেদন ঝুলে আছে ৪ লাখ ৯ হাজার ৭৮৬টি। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরি ৯ হাজার ৩০৮টি, ‘ক-১’ ক্যাটাগরির ৮৮৫টি, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে আছে ৫৮ হাজার ৯৪৭টি, ‘খ-১’ ক্যাটাগরিতে আছে ৬ হাজার ২৮০টি, ‘গ’ ক্যাটাগরির এক লাখ ৬৩ হাজার ৬২৬টি, ‘গ-১’ ক্যাটাগরির ৮৬৩টি ও ‘ঘ’ ক্যাটাগরির ৯ হাজার ৯৩৫টি আবেদন ঝুলে আছে। এ ছাড়া ক্যাটাগরি করা হয়নি এমন আবেদনের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৩৯টি।

Manual6 Ad Code

‘ক’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করেন থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘ক-১’ ক্যাটাগরি নিষ্পত্তি করেন সহকারী থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘খ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘খ-১’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

Manual8 Ad Code

এ ছাড়া ‘গ’ ও ‘গ-১’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। ‘ঘ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির এখতিয়ার এনআইডি মহাপরিচালকের।

Manual4 Ad Code

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন মো. আব্দুল হালিম। তার এখতিয়ার ভুক্ত অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৯টি। গত চার মাসে তিনি নিষ্পন্ন করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার আবেদন।

এদিকে সেন্ড ব্যাক টু সিটিজেন ক্যাটাগরিতে আছে ঝুলে আছে ২৪ হাজার ৭৭০টি আবেদন, তদন্তাধীন আছে ৬৫ হাজার ৩৯৮টি আবেদন, শুনানির অপেক্ষায় আছে ১২ হাজার ৬৭১টি আবেদন এবং অতিরিক্ত দলিলাদি প্রয়োজন এমন আবেদনের সংখ্যা ২৭ হাজার ২৩৪টি।

ইসি সচিব শফিউল আজিম এ বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) যদি পরিবর্তন করতে হয়, আমরা সেটাও করব। এখন এনআইডি আবেদন তো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। আমরা যেভাবে অঞ্চল ভেদে বৈঠক করছি, এটা তো আগে সেভাবে হয়নি।

তিনি বলেন, দুর্নীতির পথটা বন্ধ করি আগে। আমি তো এখানে বসে দেখতে পারছি, তার ওখানে কয়টা ঝুলে আছে। আমরা এখন সবগুলো টাইমলাইন করে দিচ্ছি। নির্ধারিত তারিখ করে দিচ্ছি যে, এতদিনের মধ্যে অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। জেলা এবং উপজেলায় কোনো সেবার ক্ষেত্রে কতদিন তার আমরা ফিক্সড করে দেব, যাতে বছরের পর ফেলে রাখতে না পারে।

ইসি সচিব বলেন, সবাই তো আর খারাপ না। ১০ আঞ্চলিক কর্মকর্তার মধ্যে যদি দুইজন ভালো না হয়, তাহলে তো সে নিজেই নিজের প্যাঁচে পড়বে। মানুষকে কোনো ঝামেলা ছাড়া নির্বিঘ্নে সেবা দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকে যে আবেদন পড়ে আছে, সেটা যদি আমরা আগেই বলে দিই যে, ওটা দেওয়ার সুযোগ নেই, তাহলেও অনেক আবেদন নিষ্পত্তি হয়।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code