প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভোগান্তির নাম সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
ভোগান্তির নাম সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ছয় লেন কাজে ধীরগতি, স্থানে স্থানে খানাখন্দ- সবমিলিয়ে ভোগান্তির অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক। প্রায় একবছর ধরে এই মহাসড়কের যাত্রীরা মারাত্মক দুর্ভোগ পোহালেও কাজে গতি আসছে না। সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্মকর্তারা বলছেন, ছয়লেনের কাজ চলায় তারা ভাঙাচোরা মহাসড়ক মেরামতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে রাজি নন। কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।

Manual2 Ad Code

সওজ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সিলেট-ঢাকা ৬ লেন মহাসড়ক প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ সম্প্রসারণ এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার এলাকা চার লেনে উন্নীতকরণ করার কথা।
এর মধ্যে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রায় চার বছর চলে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের এক চতুর্থাংশ কাজও সম্পন্ন হয়নি। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জমি অধিগ্রহণ জটিলতাও রয়েছে।

মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে একপাশ বন্ধ রেখে সম্প্রসারণ কাজ চলছে। বেশ কয়েকটি স্থানে চলছে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজের কারণে সড়ক সরু হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। এছাড়া মহাসড়কের সিলেট বিভাগ অংশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ ছাড়াও ভোগান্তি বাড়িয়েছে মহাসড়কের খানাখন্দ। বিভিন্ন স্থানে সড়ক দেবে গেছে, কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। আবার কোথাও পিচ সরে গিয়ে নিচের পাথর বের হয়ে এসেছে। এসব কারণে যানবাহনের গতি কমে আসায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও।

Manual5 Ad Code

সূত্র জানায়, মহাসড়কের সিলেট অংশের হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে অলিপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক এবং সেতু ও কালভার্ট সম্প্রসারণ কাজ চলছে। সিলেটের ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি স্থানে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিন্তু কাজে ধীরগতি থাকায় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

মহাসড়কের সিলেট অংশের শতাধিক স্থানে খানাখন্দ ও ভাঙা থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনকে। আগে যেখানে সিলেট থেকে ঢাকায় যেতে বা আসতে সময় লাগতো ৫-৬ ঘন্টা এখন লাগছে ৮-১০ ঘন্টা। সড়ক বেহাল হওয়ায় একদিকে যেমনি গতি কমিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন স্থানে যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

Manual8 Ad Code

শ্যামলী পরিবহনের চালক মো. জালাল আহমদ জানান, আগে সিলেট থেকে ঢাকায় যেতে বা আসতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগতো। মহাসড়কের অবস্থা ছিল ভাল। কিন্তু ছয়লেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে মহাসড়কের সংস্কার কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাই একদিকে সম্প্রসারণ কাজের জন্য ভোগান্তি, অন্যদিকে ভাঙাচোরা মহাসড়কের কারণে এখন ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। একেক স্থানে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। তাই এখন সিলেট-ঢাকা যাতায়াতে আগের চেয়ে দ্বিগুন সময় লাগছে।

এদিকে, মহাসড়কজুড়ে খানাখন্দ থাকলেও সওজ সংস্কার কাজে খুব বেশি জোর দিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমীর হোসেন জানান, মহাসড়কটি নতুন করে নির্মাণ হচ্ছে। দুই লেনের মহাসড়কটি ছয় লেন হচ্ছে। তাই পুরনো সড়কে খুব বেশি ব্যয় করা হচ্ছে না। যানবাহান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন কেবল ততটুকু করা হচ্ছে।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code